মুহা. তারিক আবেদীন ইমন
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
পরিবারের অভাব ঘোচাতে তিন বছর আগে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান মো. আবদুল সোবহান (৪৯)। গত বছর মার্চ মাসে স্ট্রোক করে দেশটির পেরাক রাজ্যের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। কিন্তু প্রায় দুই মাস ধরে লাশ পড়ে থাকলেও তা নেয়নি পরিবার। তার পরিবারের সদস্যদের নম্বর নিয়ে ফোন করলে প্রথমে রিসিভ করলেও বিষয়টি টের পেয়ে ভুল নম্বর বলে লাইন কেটে দেওয়া হয়। এরপর বারবার ফোন করলেও অপর প্রান্ত থেকে কেউ ফোন রিসিভ করেনি। এ যেন নির্মম বাস্তবতা। জীবনের গল্পটা যাদের ঘিরে, সেই তারাই যেন আজ চিনেও চিনছে না। যাদের জন্য এতকিছু তারাই ভুলে গেল সবকিছু। ছিন্ন-ভিন্ন করল সব বন্ধন!
ওই সময় মালয়শিয়া হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আব্দুল সোবহানের পারিবারের খোঁজ পাওয়া গেছে। কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় তার বাড়ি; কিন্তু পরিবার আব্দুল সোবহানের লাশ দেশে নিতে চাচ্ছে না। হাইকমিশন থেকে বারবার তার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরেও কোনো উত্তর মিলছে না, এটা খুব দুঃখজনক।
একই ঘটনা ঘটে ২০২২ সালে ইতালিতে। মারা যাওয়ার পর দেড় মাস পর্যন্ত ইতালির একটি মর্গে ছিল আব্দুল হাই (৪৪) নামে এক বাংলাদেশির লাশ। যোগাযোগ করা হয় তার পরিবারের সঙ্গে। পরে তারা লাশ দেশে নিতে অস্বীকার করে। ফলে রোম দূতাবাসসহ অন্যান্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের আর্থিক সহযোগিতায় আব্দুল হাইয়ের লাশ দাফন করা হয়।
প্রায়ই খবর শুনতে পাওয়া যায়- প্রবাসে বাংলাদেশির লাশ বেওয়ারিশ হয়ে পড়ে আছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী শ্রমজীবীদের জন্য এটা একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ প্রবাসে বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধারা মারা গেলে তাদের মৃতদেহ রাষ্ট্রীয় খরচে এবং ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে পাঠানোর দাবি অনেক বছরের৷ দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা সরকারি ব্যবস্থাপনা ও খরচে লাশ দেশে নিয়ে আসার ব্যাপারে দাবি জানিয়ে এলেও সেটা আমলে নেয়নি বিগত ও বর্তমান বাংলাদেশ সরকার৷
জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য এমনকি ইউরোপেরও নানা দেশে অবৈধভাবে প্রচুর বাংলাদেশি যান৷ এদের অনেকেই ‘ওয়েজ আর্নার্স বোর্ডের’ সদস্য নন৷ তবে তাদের অধিকাংশই রেমিটেন্স যোদ্ধা৷ অথচ বিদেশ বিভুঁইয়ে তাদের কারও কারও নিঃস্ব অবস্থায় মৃত্যু হলে, অনেক সময়ই অযত্নে বেওয়ারিশ হিসেবে কিংবা ‘অজ্ঞাতনামা' হিসেবে ভিনদেশের মাটিতেই কবর দেওয়া হয়৷ প্রবাসীরা মারা গেলে লাশ দেশে পাঠানোর জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজেরাই চাঁদা বা তহবিল তুলে প্রবাসে মৃত প্রবাসীর লাশ দেশে তার সামর্থ্যহীন পরিবারের কাছে ফেরত পাঠান৷ অথচ আমাদের দূতাবাসগুলো খবরও রাখে না।
প্রায় তিন মাস মর্গে থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশে আসে লিবিয়ায় কাজ করতে গিয়ে মারা যাওয়া নাজমুল ইসলাম (৩০) নামের এক প্রবাসীর লাশ। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বেতুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে চার লাখ টাকা খরচ করে জীবিকার সন্ধানে লিবিয়ায় পাড়ি জমান নাজমুল। গত ২০ জুন ঘরের ভেতর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। কাগজপত্র জটিলতার কারণে দেশে আসতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে পরিবারের সবাই শোকে ভেঙে পড়েছিল। লাশ না পাওয়ায় কষ্টটা আরও বেড়েছিল। তিন মাস ধরে তাদের বিভীষিকাময় পরিস্তিতির মুখোমুখি হতে হয়।
পরিবারের সচ্ছলতার আশায় ২০০৭ সালের কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া পাড়ি জমান আবদুল হান্নান (৪৪) নামের এক বাংলাদেশি। কিন্তু জীবন থেকে ১৭ বছর হারিয়ে গেলেও তিনি জীবদ্দশায় সচ্ছলতার মুখ দেখেননি। দীর্ঘ ২৫ দিন রোগ ভোগের পর গত ১৫ নভেম্বর চৌকিটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর নতুন জটিলতায় পড়েন স্বজনরা। হাসপাতালের চিকিৎসা বিল ও মরদেহ দেশে পাঠাতো প্রয়োজন ছিল ১২ হাজার রিঙ্গিত বা প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। কিন্তু পরিবারের পক্ষে এত অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছিল না। হান্নানের বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থাকায় শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির মালিক সব ব্যয় বহন করার কথা থাকলেও নিয়োগকর্তা সেটি বহন করেননি। তাই বিপাকে পড়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত মৃত হান্নানের ছোট ভাই মো. পেল্টু মিয়া কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান। তবে তাতে কাউন্টারের দায়িত্ব থাকা কর্মীরা কোনো সাড়া দেননি। পরে প্রবাসীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ১২ হাজার রিঙ্গিত সাহায্য তুলে আবদুল হান্নানের মরদেহ গত ২৫ নভেম্বর দেশে পাঠানো হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ বছরে ৪১ হাজার ৮৭৫ প্রবাসীর লাশ দেশে ফিরেছে। এরমধ্যে ২০২৪ সালে ৪ হাজার ৮১৩, ২০২৩ সালে ৪ হাজার ৫৫২ জন, ২০২২ সালে ৩ হাজার ৯০৪ জন, ২০২১ সালে ৩ হাজার ৮১৮ জন, ২০২০ সালে ৩ হাজার ১৯ জন ও ২০১৯ সালে ৪ হাজার ৩৪ জন, ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৫৭ জন, ২০১৭ সালে ২ হাজার ৯১৯ জন, ২০১৬ সালে ২ হাজার ৯৮৫ জন, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৮৩১, ২০১৪ সালে ২ হাজার ৮৭২ এবং ২০১৩ সালে ৩ হাজার ৭৬ জন প্রবাসীর মরদেহ দেশে এসেছে।
মৃতদের সঙ্গে আসা নথিপত্র অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি প্রবাসী মারা যান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত (ব্রেইন স্ট্রোক) কারণে। এদের একটা বড় অংশই মধ্যবসয়ী কিংবা তরুণ। এছাড়াও হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা কিংবা প্রতিপক্ষের হাতেও খুন হন বাংলাদেশিরা। তবে তরুণ কিংবা মধ্যবয়সে কেন এত বিপুলসংখ্যক প্রবাসী স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো অনুসন্ধান হয়নি।
প্রবাসী বাংলাদেশি, মৃতদের স্বজন ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য মূলত মরু আবহাওয়ার দেশ। প্রচণ্ড গরমে প্রতিকূল পরিবেশে অদক্ষ এই বাংলাদেশিরা ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকেন। একদিকে প্রতিকূল পরিবেশ, অন্যদিকে অমানুষিক পরিশ্রম, ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকা, দীর্ঘদিন স্বজনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা এবং সব মিলিয়ে মানসিক চাপের কারণেই সাধারণত স্ট্রোক বা হৃদরাগের মতো ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রামরুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১২ বছরে প্রবাসে ৪০ হাজার ৭১৩ কর্মীর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ২০২৪ সালে দেশে এসেছে ৪ হাজার ৮১৩ কর্মীর মরদেহ। তাদের মধ্যে ৩১ শতাংশের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১৬ শতাংশের মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়। আর ১৫ শতাংশ আত্মহত্যা করেন। ২৮ শতাংশের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বাকিরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
রামরু বলছে, তবে প্রবাসী কর্মীর মৃত্যুসনদে থাকা কারণ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তাদের পরিবার। মৃত্যুর যথাযথ কারণ জানতে চায় তারা। বিদেশে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেই তাদের পাঠানো হয়। তারা সেখানে গিয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রবাসের মৃতদেহের সঙ্গে পাঠানো মৃত্যুসনদ যাচাইয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ময়নাতদন্ত করা হয় না। অথচ স্বাভাবিক মৃত্যু বলে পাঠানো অনেক মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তথ্য বলছে, প্রবাসীরা ৮ ঘণ্টা কাজের বদলে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। মানুষ হিসেবে যাচ্ছেন একজন কর্মী, মারা গেলে ফিরে আসছেন কার্গো হয়ে। বিশ্বের সব দেশেই মৃতদেহকে কফিন হিসেবে কার্গোর মতো করে পরিবহন করা হয়।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এতসংখ্যক প্রবাসী অস্বাভাবিকভাবে কেন মারা যাচ্ছে, এই ব্যাপারটা সুরাহা হয় না। প্রতি বছর যেহেতু অনেক প্রবাসী বিভিন্ন দেশে যায়, বিভিন্ন দেশে কিছু না কিছু ঘটনা থাকে; মারা যাওয়ার পর অনেকের রিপোর্টে হার্ট অ্যাটাক বা এই জাতীয় কিছু লেখা থাকে, এটা অনেক আগে থেকেই। আমরা বলে আসছি, এটা তদন্ত দরকার যে, কীভাবে মারা গেছে, তার সঠিক তথ্যটা বের করা। একটা সুস্থ মানুষ হঠাৎ কেন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে, নাকি তার যাওয়ার আগেই কোনো অসুস্থতা ছিল, অনেক সময় দালালদের মাধ্যমে মেডিকেল রিপোর্ট ফিট দেখানো হয়। আবার মধ্যপ্রাচ্যে অনেক দেশে হিট স্ট্রোকে অনেকে মারা যায়। এখন আমাদের দূতাবাসের জায়গা থেকে যেটা করণীয়, তারা যখন কারও মৃত্যুর সংবাদ পাবে, সেটার ময়নাতদন্ত না হলেও অন্তত সঠিক মেডিকেল রিপোর্ট একটা দরকার যে, সে কীভাবে মারা গেল। যেটা নেওয়া হয় না। তাতে করে একটা গ্যাপ থেকে যায়। কীভাবে মারা যাচ্ছে সেই সঠিক তথ্যটা পরিবার পাচ্ছে না, এটা খুব অমানবিক।
২০১২ সালে শাহজাদা মিসরে যান সেখানকার আওয়াল গামা শহরে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ নিয়ে। ২০১৮ সালে ছুটিতে দেশে এসে পরিবারের সঙ্গে কয়েক দিন থাকার পর আবার ফিরে যান কর্মস্থলে। কাজ করে যা আয় করতেন সবই পাঠাতেন পরিবারের কাছে। ২০২৩ সালে হঠাৎ করে করে স্ট্রোক করলে বাংলাদেশি সহকর্মীরা তাকে ভর্তি করেন কায়রোর সৌদি-জার্মান হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার জানান, অস্ত্রোপচার করতে হবে, বিপুল অংকের অর্থের প্রয়োজন। সহকর্মীরা শাহজাদা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান। সহকর্মী আলাল উদ্দিন তাকে নিয়ে যান নিজের বাসায়। এর কয়েক দিন পর শাহজাদা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তার পরিবারে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় দেশে পাঠানোর ব্যাপারে। কিন্তু তারা সহযোগিতা করেননি। এমনকি এক পর্যায়ে ফোন করলে তারা ধরতেন না। পরবর্তী সময়ে মিসরে মানবকল্যাণ গ্রুপের মাধ্যমে বাংলাদেশ কমিউনিটির সহযোগিতায় শাহজাদাকে দেশে পাঠানো হয়।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম-এর সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের প্রবাসীদের মধ্যে অনেকের বিদেশে গিয়ে আন-ডকুমেন্টেড হয়ে যায়। বিভিন্ন ডকুমেন্টের সমস্যা দেখা যায়, তাদের নথি, কাগজ ঠিক থাকে না। যারা বৈধ কর্মী তাদের চেয়ে যাদের কাগজপত্র ঠিক থাকে না তাদের কেউ মারা গেলে তখন মরদেহ পাঠাতে অনেক সংকট তৈরি হয়। ফলে তাদের পরিবার পরিজন জানে না কীভাবে কাগজপত্র ঠিকঠাক করবে। লাশ আসতে হলে বিভিন্ন ক্লিয়ারেন্স লাগে। এই সমস্ত কারণে যাদের কাগজপত্রের সমস্যা থাকে, তাদের লাশ আসতে দীর্ঘ সময় লাগে। আমি মনে করি, বিদেশে যখন কোনো বাংলাদেশি মারা যায় তখন ডকুমেন্টড বা আন ডকুমেন্টেড এসব না দেখে দ্রুত লাশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা। আর এই সমস্ত সবকিছু ডিজিটালাইজেশন করা উচিত। এসব বিষয় ডিজিটালাইজেশন না হওয়ায় ডকুমেন্টেড সমস্যাগুলো বেশি দেখা দিচ্ছে। সবকিছু ডিজিটালাইজেশন করলে প্রবাসীদের ডেটবডি আসতে এত সময় লাগবে না। সবকিছু দ্রুত সম্পন্ন হবে।’
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। যতই দিন যাচ্ছে বাড়ছে প্রবাসী আয়। যাদের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির গতি স্বাভাবিক রয়েছে তাদের সামান্য সুযোগ সুবিধা ও ন্যূনতম অধিকার আদায় করা হলে রেমিট্যান্সের গতি আরও বাড়বে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
টিএই/জেবি