লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
ওজন কমানোর মিশনে আছেন এমন ব্যক্তিদের কাছে টক দিন বেশ পরিচিত একটি নাম। দ্রুত ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এটি। স্বাস্থ্যের জন্যও টক দই ভীষণ উপকারি। তবে তা খেতে হবে সঠিক সময়ে, সঠিক পরিমাণে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান লিভার সুস্থ রাখে। কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে এটি খেলে। অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। সেক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন দইয়ের উপর। তাই বলে, সকাল সকাল টক দই খাওয়া যাবে না। এতে উপকারের বদলে অপকারই বেশি হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে টক দই কখনই খালি পেটে বা ঘুমানোর আগে খাওয়া উচিত নয়।
টক দই খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, টক দই খাওয়ার সঠিক সময় হলো দুটি মিলের মাঝে। দিনের বেলা দই খাওয়া সবচেয়ে ভালো। দুপুরে খাওয়ার পরেও খেতে পারেন দই। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি দিনের দু’টি খাবারের মাঝে দই খাওয়া যায়। অর্থাৎ মধ্য দুপুর বা বিকেলে দই খেতে পারেন।
আরও পড়ুন- টক দই কেন খাবেন?
কোন সময় দই খাওয়া উচিত নয়?
রাতে দই না খাওয়াই ভালো। কারণ দইয়ে রয়েছ ‘হিস্টামাইন’ নামক উপাদান যা মিউকাসের ক্ষরণ বাড়ায়। রাতে বেশি পরিমাণে দই খেতে শুরু করলে সর্দি-কাশির সমস্যা বেড়ে যাবে। যাদের সাইনাসের সমস্যা আছে তারা ভুলেও রাতে দই খাবেন না। সমস্যা বাড়াতে পারে।
টক দইয়ের সঙ্গে এসব খাবার ভুলেও খাবেন না
দইয়ে এমনিই অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই দইয়ের সঙ্গে টকজাতীয় কোনো ফল খাবেন না। লেবু বা সাইট্রাসজাতীয় ফলের সঙ্গে ভুলেও টক দই খাবেন না। এতে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন- টক নাকি মিষ্টি দই ভালো?
অনেকে বাজার থেকে কেনা টক দই খান। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি বাড়িতে তৈরি দই খেতে পারেন। টক দইয়ের সঙ্গে চিনি মেশাবেন না। দই খেতে হবে পরিমিত। দিনে ১০০ গ্রাম দই খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি খাওয়া উচিত নয়।
এনএম