লাইফস্টাইল ডেস্ক
১০ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:১০ পিএম
শরীরচর্চার একটি আদি ও অকৃত্রিম মাধ্যম দৌড়। কেবল দৌড়বাজ হলেই যে নিয়মিত দৌড়াতে হবে তা কিন্তু নয়। অনেকে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে চান না। তার বদলে সকালে বাড়ির চারপাশে দৌড়ে আসে। এটি এমন একটি ব্যায়াম যাতে পুরো শরীরেরই উপকার হয়।
নিয়মিত দৌড়ালে আলাদা করে পেট, কোমর কিংবা পায়ের ব্যায়াম করতে হয় না। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, দৌড়ের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যেরও। নিয়মিত দৌড়ালে নিয়ন্ত্রণে থাকে মানসিক অবসাদ। এই তথ্য ‘জার্নাল অফ অ্যাফেক্টিভ ডিজঅর্ডার’ এ প্রকাশিত হয়েছে।

মনের ওপর চাপ বাড়লে কিংবা কেউ অবসাদে ভুগলে চিকিৎসকরা সাধারণত অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতেই হয়। তবে এসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। দীর্ঘদিন এমন ওষুধ খেলে তা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন-
মানসিক অশান্তি থেকে দূরে থাকতে ওষুধের বিকল্প হিসাবে দৌড়নোর অভ্যাস করা যেতেই পারে। তবে এই বিষয়টি আদৌ কতটা কার্যকর, তা যাচাই করতে ইউরোপীয়ান কলেজ অফ নিউরো সাইকো ফার্মাকোলজি একটি সমীক্ষা করে।

মানসিক অবসাদে ভুগছেন এমন ১৪০ জনকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়। এই ব্যক্তিদের দুটি দলে ভাগ করে নিয়েছিলেন গবেষকেরা। চিকিৎসার মাধ্যম হিসাবে একটি দল কেবল দৌড়কেই বেছে নিয়েছিল। আর অন্য দলটি বেছে নিয়েছিল ওষুধ।
১৬ সপ্তাহ ধরে চলমান এই গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা দেখেন, চিকিৎসার মাধ্যম হিসাবে যে দলটি দৌড়কেই বেছে নিয়েছিল, তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অন্য দলটির তুলনায় অনেক বেশি।

এ বিষয়ে আমস্টারডামের ভ্রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ব্রেন্ডা পেনিক্স জানিয়েছেন, চিকিৎসার মাধ্যম হিসাবে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত রোগীরা কোনটিকে বেছে নিতে পারেন, সেটি খুঁজে বের করতেই এই গবেষণা করা হয়। তবে কেবল গবেষক বা চিকিৎসকরাই নন, মানসিক অবসাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত দৌড়নোর পক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও।
এনএম