কিছুদিন আগে বাজারে এসেছে আইফোনের নতুন মডেল। সুযোগ খুঁজছেন কবে সেটি কেনা যায়। নতুন ফোন যে আপনার খুব বেশি প্রয়োজন তা নয়। কিন্তু আপডেট থাকতে পছন্দ করেন। কেবল ফোন নয়, একই ইচ্ছে কাজ করে নানা গ্যাজেট থেকে শুরু করে পোশাক, প্রসাধনী সব ক্ষেত্রেই।
প্রয়োজনে বিভিন্ন জিনিস কেনে সবাই। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে বিষয়টি অপ্রয়োজনেও হয়। অর্থাৎ না লাগার পরও অনেকে পোশাক, গয়না, ফোন, জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি জিনিসপত্র কেনেন। এই প্রবণতা কী ঠিক? নাকি একসময় এটি মানসিক সমস্যায় পরিণত হয়?
বিজ্ঞাপন

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে নতুন ফোন, গ্যাজেট বা পোশাক বাজারে এলেই মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে তা কেনার জন্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছেন লাইনে। এসব ঘটনা রীতিমত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসামহলে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সাময়িক এই হুজুগ একটা সময় পরে মানসিক সমস্যায় পরিণত হতে পারে। নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণ করতে না পারলেই মানুষকে অবসাদ গ্রাস করবে। যা মানসিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে।

তবে এই বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে চিকিৎসক মহলে। বিষয়টিকে সবাই যে রোগের পর্যায়ে ফেলতে চাইছেন এমনটা কিন্তু নয়। এক পক্ষের ‘আ্যাবনরমাল ইম্পালস’ যেকোনো বিষয়েই থাকতে পারে। শুধু নতুন কিছু কেনা নয়। যেকোনো কাজ নিয়েও এই ধরনের ইম্পালসিভনেস কাজ করতে পারে।
এই সমস্যার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অনেকাংশে দায়ী করেছেন মনোবিদেরা। তাদের মতে, অন্যদের কাছে শো অফ করা কিংবা নিজেকে সুখী দেখানোর জন্যই মানুষ অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনছে। এই অভ্যাসে যে কারোরই লাগাম টানা উচিত।
এনএম

