ক্রিকেটে একটা কথা সবচেয়ে বেশি শোনা যায় 'বয়স কেবলই সংখ্যা'। কিন্তু সেটাকে সত্যি করে দেখাতে পারেন কজন? সাইপ্রাস নারী ক্রিকেট দলের অফস্পিনার সামান্থি দুনুকেদেনি এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তার অভাবনীয় পারফরম্যান্স দিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল চল্লিশ বছর বয়সে। আর ৪১ বছর বয়সে এসে গড়লেন এমন এক রেকর্ড, যা আগে কখনোই দেখা যায়নি; নারী কিংবা পুরুষ ক্রিকেটে কেউই নয়।
আরও পড়ুন-লাস্যময়ী অভিনেত্রীর ছবিতে ‘লাভ রিয়্যাক্ট’ দিয়ে বিপাকে কোহলি
বিজ্ঞাপন
চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে চলমান পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে ঝড় তোলেন দুনুকেদেনি। ভিনোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের মেয়েরা তার ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৭ উইকেট। যা মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার।

আরও পড়ুন- কোন ৩ বোলারের বল খেলা বেশি কঠিন, জানালেন কোহলি
তবে যে কারণে রেকর্ডটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে, সেটি হলো ৪১ বছর ৮১ দিন বয়সে তিনি হয়ে গেলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে এক ইনিংসে ৭ উইকেট শিকার করা ক্রিকেটার, নারী-পুরুষ মিলিয়ে!
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন-এক ম্যাচেই পাঁচ রেকর্ড গড়লেন কোহলি
তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। একই দিনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও জ্বলে ওঠেন দুনুকেদেনি, এবার ব্যাট হাতে। ওপেন করতে নেমে খেলেন ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস, যেখানে ছিল ৯টি চারের মার। তার সঙ্গী আয়েশা দিরান্নেহেলাগেও অপরাজিত ৬৫ রান করেন। তবে ম্যাচের সবচেয়ে বিস্ময়কর দিক ৭১ রান আসে অতিরিক্ত থেকে, যার ফলে দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ২০১ রান, কোনো উইকেট না হারিয়ে।
আরও পড়ুন- ব্রাজিলের কোচ হবেন নাকি রিয়ালেই থাকবেন, আনচেলত্তি নিজে যা জানালেন

এই ইনিংসটি এখন নারী টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ (বিনা উইকেটে)। আগের রেকর্ডটি ছিল জার্মানির, যারা ২০২০ সালে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে তুলেছিল ১৯৮ রান।
আরও পড়ুন- দলের ক্রিকেটারদের চাহিদা মেটাতে যা করেছিলেন প্রীতি জিনতা
মাত্র ১৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন দুনুকেদেনি। এর মধ্যে ২২টি উইকেট ও ৮৮ রান। সংখ্যাগুলো যতটা নয়, ততটাই চোখ ধাঁধানো তার গল্প। পেশাদার ক্রিকেট শুরু করেছেন চল্লিশে, আন্তর্জাতিক অভিষেকও সেই বয়সে। তবু একটুও পিছিয়ে নেই তিনি তরুণদের চেয়ে। বরং প্রতিটি ম্যাচেই যেন নিজেকে প্রমাণ করছেন বয়স বাধা নয়, বরং এক ধরনের প্রেরণা।

