জ্বিনের মসজিদ বা মসজিদুল জ্বিন। মক্কা-মদিনার দর্শনীয় স্থানগুলোর একটি। মসজিদটিকে মক্কার প্রাচীনতম মসজিদগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং এটি শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলির একটি। মসজিদুল হারাম থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে জান্নাতুল মুয়াল্লার কাছে এই মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি এমন জায়গায় নির্মিত হয়েছে যেখানে জ্বিনদের একটি দলের সঙ্গে নবীজির (স.) সাক্ষাৎ হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
তারা নবীজি (স.)-এর প্রতি ঈমান এনেছিল এবং তাঁর প্রতি বাইয়াত (আনুগত্যের শপথ) করেছিল। এটিকে মসজিদুল হারাস বা গার্ডের মসজিদও বলা হয়। ‘হারাস’ অর্থ পাহারা দেওয়া। আর এই স্থান থেকে বহিরাগতদের গমনাগমন পাহারা দিত মক্কার অধিবাসীরা। প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মুসল্লি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর স্মৃতিবিজড়িত এই মসজিদ পরিদর্শনে আসেন।
প্রকৃতপক্ষে ১৭ শ খ্রিস্টাব্দে এখানে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড মসজিদ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান সৌদি রাজপরিবার এই মসজিদের আধুনিকায়ন করেছে এবং তাতে মিনার যুক্ত করেছে। এখন মসজিদটিতে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যে শহর প্রাচীন মসজিদের
ঐতিহাসিকরা লেখেন, তায়েফ থেকে ফেরার সময় মহানবী (স.) নাখলা নামক স্থানে কয়েক দিন অবস্থান করেন। সেখানে আল্লাহ তাআলা জ্বিনদের দুটি দলকে তাঁর কাছে পাঠান। পবিত্র কোরআনের সুরা জ্বিন-এ এই ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআনের ভাষায়, ‘অতঃপর তারা (নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল) আমরা এক বিস্ময়কর কোরআন শুনেছি, যা সঠিক ও নির্ভুল পথ প্রদর্শন করে। তাই আমরা তার ওপর ঈমান এনেছি...।’ (সুরা জিন: ১-২)
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও সুরা কাহফের ২৯-৩১ আয়াতে তাদের কথা বলা হয়েছে। মানুষের ইসলামবিমুখতার বিপরীতে জ্বিনদের ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর প্রিয়নবীকে সান্ত্বনা প্রদান করেন। (আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা-১৪৬)

