রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

দারিদ্র্য দূর করে যে সুরা 

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২২, ০১:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

দারিদ্র্য দূর করে যে সুরা 

পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সুরার আলাদা তাৎপর্য, মাহাত্ম্য ও ফজিলত আছে। এমনকি একেক বাক্যের আংশিক তেলাওয়াতেও বিস্ময়কর উপকার দৃশ্যমান হয়। সুরা আল ওয়াকিয়াহ কোরআনের ৫৬তম সুরা। আয়াতসংখ্যা ৯৬। মক্কায় অবতীর্ণ সুরাটির রুকু আছে তিনটি। সুরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করলে অভাব আসে না। দরিদ্র্য গ্রাস করতে পারে না। নিয়মিত মাগরিবের নামাজ শেষে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে হাদিসে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন—

আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াকিয়াহ তেলাওয়াত করবে, তাকে কখনো দারিদ্র্য স্পর্শ করবে না।’ (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান: ২৪৯৮)


বিজ্ঞাপন


এই সুরার তেলাওয়াত অব্যাহত রাখলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির খাদ্যসংকট হয় না। হাদিসের স্পষ্ট ভাষ্য ঠিক এরকমই। একটি ঘটনা, সঙ্গে একটি হাদিস উল্লেখ করছি। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) জীবনের শেষ বয়সে অসুখে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন। ওই সময় আমিরুল মুমিনিন হজরত ওসমান (রা.) তাঁকে দেখতে যান। তাদের মুখোমুখি কথাবার্তা ছিল এমন- জনাব, আপনার অসুখটা মূলত কী? অসুস্থ সাহাবির জবাব- জীবনে অনেক পাপ করেছি; অসুখ এটাই। প্রশ্ন, আপনার চাহিদা, বাসনা বা শখ কী? চটপট জবাব, শুধুই আল্লাহর রহমত। ফের প্রশ্ন, আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চাই, আপনার মত কী? দৃঢ়তার সঙ্গে জবাব দিলেন, কোনো প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন: ১০ বার সুরা ইখলাস পড়ার পুরস্কার

ওসমান (রা.) অনুরোধের সুরে বললেন, কিছু উপহার গ্রহণ করুন। ইনতেকালের পর এই উপহার আপনার কন্যাদের কাজে লাগবে। এবার আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আপনি চিন্তা করছেন, আমার মেয়েরা দরিদ্র হয়ে যাবে। তারা খেয়ে না খেয়ে, উপবাসে অভাবে জ্বলবে। আমি এমন আশঙ্কা করি না। সব মেয়েকে জোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছি, অবশ্যই তোমরা প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়াহ তেলাওয়াত করবে। তিনি বলেন, প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে বলতে শুনেছি, প্রতি রাতে কোনো ব্যক্তি সুরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করলে সে কখনো খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হবে না। (সূত্র: তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন/মুফতি মুহাম্মদ শফি (রহ), বায়হাকি /ঈমান অধ্যায়, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা-৪৯১)

আরও পড়ুন: সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত


বিজ্ঞাপন


দেশের প্রতিটি আবাসিক মাদরাসা, পীর-মাশায়েখদের দরবার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতই মাগরিব নামাজ শেষে সুরায়ে ওয়াকিয়াহ তেলাওয়াত হয়। আলেমরা বলেন, এর সুফল কোরআন নাজিলের পর থেকে সবসময় পরীক্ষিত। ‘আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর মেয়েদেরকে প্রতি রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন।’ (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান: ২৪৯৮)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেককে নিয়মিত সুরা ওয়াকিয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও আখেরাতে এই সুরা পাঠের উপকার দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর