কোনো মুসলিম মারা গেলে তার মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে মৃতদেহ সামনে রেখে যে বিশেষ দোয়া ও নামাজ আদায় করা হয়, সেটিই সালাতুল জানাজা বা জানাজার নামাজ। এই নামাজে ইমামের সঙ্গে মুক্তাদিকেও তাকবির বলা আবশ্যক। হানাফি মাজহাবমতে, জানাজার নামাজ সঠিক হওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।
মুক্তাদির করণীয়
জানাজার নামাজে মুক্তাদি ইমামের অনুসরণ করবে এবং ইমামের সঙ্গে চারটি তাকবির বলবে। মুক্তাদি শুধু তাকবিরই বলবে না, নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি তাকবিরের পরের দোয়াও নিজে পড়বে। এখানে মুক্তাদির নীরব থাকার কোনো বিধান নেই।
আরও পড়ুন: জানাজার নামাজে ভুলে ৫ তাকবির দিলে করণীয় কী?
হানাফি ফিকহের প্রসিদ্ধ গ্রন্থগুলোতে উল্লেখ রয়েছে, ‘জানাজার নামাজের রুকন হলো চার তাকবির ও দাঁড়ানো। প্রতিটি তাকবির একেকটি রাকাতের সমতুল্য।’ (আল বাহরুর রায়েক: ৫/২৫৯; দুররুল মুখতার: ২/২০৯) এখানেই স্পষ্ট যে, তাকবির জানাজার নামাজের মূল স্তম্ভ; তাকবির ছাড়া নামাজই পূর্ণ হয় না।
জানাজার নামাজের পর্যায়ক্রম
প্রথম তাকবিরের পর ছানা পড়া হয়। দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরুদ শরিফ পড়তে হয়। তৃতীয় তাকবিরের পর মৃত ব্যক্তির জন্য বিশেষ দোয়া পড়া আবশ্যক। চতুর্থ তাকবিরের পর সালাম ফিরানো হয়। শুধু প্রথম তাকবির বলার সময় হাত তোলা সুন্নত, পরের তাকবিরগুলোর সময় হাত তোলার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: জানাজার খাটিয়া বহনের সময় করণীয়
সুতরাং, জানাজার নামাজের একটি অপরিহার্য অংশ হলো তাকবির। ইমামের সঙ্গে মুক্তাদিকেও এই তাকবিরগুলো বলতে হবে। এটি নামাজের ফরজ অংশসমূহের মধ্যে পড়ে। মুক্তাদি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তাকবির ছেড়ে দেয়, তার নামাজ পূর্ণ হবে না। আর ভুলে ছেড়ে দিলে স্মরণ হওয়ামাত্র তাকবিরগুলো পড়ে সালাম ফেরাতে হবে। এমনকি ইমামের সালাম ফেরানোর সময় স্মরণ হলে তখনই তাকবিরগুলো পড়ে তারপর সালাম ফেরাবে।
(আল-বাহরুর রায়েক: ৫/২৫৯; আদ-দুররুল মুখতার: ২/২০৯; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১৬৫)

