হজের পবিত্র মৌসুমে যখন পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আগত মুসলমানরা মক্কা শরিফে সমবেত হন, তখন মদিনার মসজিদে নববিতে দেখা যায় এক অনন্য প্রশান্ত পরিবেশ। অধিকাংশ হজযাত্রী মক্কায় অবস্থান করায় মসজিদে নববি অনেকটাই নিরিবিলি হয়ে পড়ে। আর এই সুযোগটিকেই লুফে নিচ্ছেন মদিনাবাসীরা—ইবাদতে মশগুল হয়ে কাটাচ্ছেন আত্মিক প্রশান্তির সময়।

বিজ্ঞাপন
‘ইনসাইড দ্য হারামাইন’-এর এক ফেসবুক পোস্টে ভীড়হীন মদিনাতুন্নবীর কিছু ছবি শেয়ার করা হয় এবং বলা হয়, ‘এটি মদিনার নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্য একটি উত্তম সুযোগ যে, মসজিদে নববিতে ঘনিষ্ঠ ও প্রশান্তিময় অভিজ্ঞতা লাভের, কারণ অধিকাংশ মানুষ হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় গমন করেন, যার ফলে মসজিদে নববি অনেকটাই ফাঁকা থাকে।’
আরও পড়ুন: আরাফার দিন দোয়া করার উত্তম সময়, যে দোয়া পড়তে ভুলবেন না

সাধারণ সময়ের তুলনায় এ সময় মসজিদে নববির ভিড় কম থাকায় নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া ও ইবাদত করার জন্য এক ধরণের বিশেষ আবহ তৈরি হয়। স্থানীয় মুসল্লিরা বছরের এই সময়টিকে আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের জন্য বিশেষভাবে কাজে লাগান।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আরাফার রোজা সৌদির হিসাবে রাখবেন নাকি বাংলাদেশের?

মসজিদে নববির এই শান্ত পরিবেশ কেবল মদিনাবাসীর জন্য নয়, বরং যেসব যাত্রীরা হজের আগে বা পরে মদিনায় অবস্থান করেন, তাদের জন্যও এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে। নীরব, মনোমুগ্ধকর পরিবেশে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত ও মসজিদে নববিতে ইবাদত অন্তরজগতকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: মদিনায় হাজিদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল

বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ের স্পন্দন এই পবিত্র মসজিদ। আর হজ মৌসুমে যখন তা কিছুটা ফাঁকা ও প্রশান্ত হয়, তখন ইবাদতের সুযোগ যেন দ্বিগুণ হয়ে যায় মদিনাবাসীর জন্য।
সূত্র: ইনসাইড দ্য হারামাইন


