২০২৫ সালের পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শীর্ষস্থানীয় আলেম ও ইসলামি চিন্তাবিদদের মাঝে মক্কা নগরীতে দেখা গেছে এক হৃদয়ছোঁয়া ঐক্যের দৃশ্য। বিভিন্ন মত, পথ ও ঘরানার আলেমগণ মতপার্থক্য পেছনে ফেলে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছেন ইসলামের মুলমন্ত্র ‘ঐক্য’-কে সামনে রেখে।

বিজ্ঞাপন
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়—দেশের পরিচিত আলেমগণ পরস্পরকে আলিঙ্গন করছেন, হাসিমুখে কথা বলছেন এবং সকল মতভেদের ঊর্ধ্বে উঠে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। কাবা শরিফের পবিত্র ছায়ায় দাঁড়িয়ে এমন মিলনের মুহূর্ত দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন- “কলিজা শীতল হয়ে গেল!”
আরও পড়ুন: পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং সৌজন্যবোধে তৈরি হোক ঐক্যের সেতুবন্ধন: আজহারী

এই মিলনমেলায় দেখা গেছে মিজানুর রহমান আজহারী, শায়খ আহমাদুল্লাহ, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি হারুন ইজহার, আবুল কালাম আজাদ বাশার, আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মুস্তাকুন্নবী কাসেমী, রেজাউল করিম আবরার, শামসুদ্দোহা আশরাফী, শামিম সাঈদি, মুফতি কাজী ইব্রাহিম, প্রফেসর মোক্তার আহমদ, মোস্তাক ফয়েজিসহ দেশের গণ্যমান্য শীর্ষস্থানীয় আলেমদের।
বিজ্ঞাপন
ধর্মীয় বিভাজন নয়, বরং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একতাবদ্ধ থাকা যে কতটা জরুরি—এই বার্তা উঠে এসেছে এই মিলনমেলায়। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “যদি আলেম সমাজ এক থাকেন, তবে আমাদের কেউ হারাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।”
আরও পড়ুন: বিভেদ ভুলে যেভাবে ঐক্য গড়তে বলে ইসলাম

আরও পড়ুন: আরাফার রোজা সৌদির হিসাবে রাখবেন নাকি বাংলাদেশের?
উপস্থিত আলেমরা মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন, যেন এই ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধন চিরস্থায়ী হয়। নেটিজেনদের অনেকেও দোয়া করেন: “মহান আল্লাহ এই বন্ধন অটুট রাখুন, আমিন।”

এই সফর শুধুই হজের নয়—বরং এটি হয়ে উঠেছে ইসলামি ঐক্যের এক বাস্তব ও প্রেরণামূলক উদাহরণ।

