জান্নাতের গাছ ‘তুবা’ নিয়ে কোরআন-হাদিসে যা আছে

জান্নাতের বিশেষ একটি গাছের নাম তুবা। কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় এই গাছের বর্ণনা রয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘যারা (আল্লাহর ওপর) বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য আছে তুবা। আর শুভ পরিণাম তাদেরই।’ (সুরা রাদ: ২৯)

এখানে তুবা’র ব্যাখ্যায় ইবনে আবু তালহা (রহ.) ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তুবা অর্থ আনন্দ ও চোখের শীতলতা। ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.) বলেন, তুবা অর্থ তাদের জন্য কল্যাণ। সুদ্দি (রহ.) ইকরিমা (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন, তুবা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো জান্নাত। ইবনে জারির তাবারি (রহ.) শাহর ইবনে হাওশাব (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন, তুবা হলো জান্নাতের একটি বৃক্ষ। (তাফসিরে ইবনে কাসির)

জান্নাতের সেই বৃক্ষ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি গাছ আছে, কোনো আরোহী যার ছায়াতলে শত বছর ধরে চলতে থাকলেও তা অতিক্রম করতে পারবে না। (তিরমিজি: ৩২৯৩)

আরও পড়ুন: জান্নাতের সুখ শান্তি

বেশি বেশি ইস্তেগফারকারীরা তুবার ছায়ায় আনন্দভ্রমণ করবেন। হজরত আবদুল্লাহ বিন বুসর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যে ব্যক্তি তার আমলনামায় বেশি পরিমাণ ক্ষমা প্রার্থনা যোগ করতে পেরেছে, তার জন্য তুবা (জান্নাতের বৃক্ষ, সুসংবাদ, আনন্দ)। (ইবনে মাজাহ: ৩৮১৮)

আর যে ব্যক্তি অল্পে তুষ্ট থাকার গুণে গুণান্বিত, সে ব্যক্তি জান্নাতের তুবা বৃক্ষের অধিকারী হবেন। ফাজালা ইবনু উবাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘ওই ব্যক্তি কতই না সৌভাগ্যবান, যাকে ইসলামের পথে হেদায়াত দান করা হয়েছে এবং তার জীবিকা ন্যূনতম প্রয়োজনমাফিক এবং সে তাতেই খুশি।’ (তিরমিজি: ২৩৪৯)