প্রত্যেকের জীবনের চুলচেরা হিসাব হবে পরকালে। সে অনুযায়ী প্রতিফল দেওয়া হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন। ‘যখন সময় আসবে তখন অবশ্যই আপনার প্রতিপালক তাদের সবাইকে তার কর্মফল পুরোপুরিভাবে দেবেন। তারা যা করে, নিশ্চয়ই তিনি সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (সুরা হুদ: ১১১) ‘চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে, সে সম্পর্কেও তিনি অবহিত।’ (সুরা মুমিন: ১৯)
ভালোর প্রতিফল ভালো, খারাপের প্রতিফল হবে খারাপ। তাই সতর্কতার সঙ্গে জীবন পরিচালনা করতে হবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে সৎকর্ম করে সে নিজের কল্যাণের জন্যই তা করে এবং কেউ মন্দকর্ম করলে তার প্রতিফল সে-ই ভোগ করবে। আপনার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের প্রতি কোনো প্রকার জুলুম করেন না।’ (সুরা হামিম সিজদা: ৪৬)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: জুলুমের পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহর ওয়াদা
আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে নেয়ামতে ভরা জান্নাত; সেখানে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে। আল্লাহ তাআলার প্রতিশ্রুতি সত্য। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা লুকমান: ৮-৯) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আজ প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের প্রতিফল দেওয়া হবে, আজ কারও প্রতি জুলুম করা হবে না। আল্লাহ হিসাব গ্রহণে তৎপর।’ (সুরা মুমিন: ১৭) ‘কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তা-ও দেখতে পাবে।’ (সুরা জিলজাল: ৭-৮)
আরও পড়ুন: ১৪ পাপের শাস্তি দুনিয়ায় দেওয়া হয়
তবে, যারা সীমা লঙ্ঘন করার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে তওবা করে, তাদের আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। এটি আল্লাহর ওয়াদা। কোরআনে কারিমে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অন্যায়-অবিচার করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না; আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন, তিনিই তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার: ৫৩)
বিজ্ঞাপন
অতএব, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, পরকালীন জীবনের ভয়-ভীতির বিষয়টি মাথায় রেখে পার্থিব জীবনে সব ধরনের অন্যায়-অনাচার ও কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে সর্বদা বিরত রাখা। পারলৌকিক জীবন সর্বতোভাবে সুখ-শান্তিময় করার চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

