ইসলামি আইনের একটি নীতি হলো- মানুষের সম্মান ও মর্যাদা শুধু জীবিত থাকাকালেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং মৃত্যুর পরও এ সম্মান অব্যাহত থাকবে। (সুরা ইসরা: ৭০; আল মাবসুত: ৫৯/২) তাই ইসলামি শরিয়তে দাফনের আগে-পরে মৃতদেহের সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা জীবিতদের কর্তব্য।
এজন্যই মৃত ব্যক্তিকে সযত্নে কাফন দেওয়া, জানাজা পড়া ও সুন্দরভাবে দাফনের ব্যবস্থা করা মুসলিম সমাজের অত্যাবশ্যকীয় একটি বিধান। মৃতদের কবর দেওয়ার স্থানও সংরক্ষণ করা জরুরি। কবরস্থানের অসম্মান হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।
বিজ্ঞাপন
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এক কবরের ওপর আরেকজনকে কবর দেওয়া অথবা কবরের ওপরে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করা কিংবা তার ওপরে বসাও জায়েজ নয়।
আরও পড়ুন
দাফনের সময় উপস্থিত লোকদের তিনবার মাটি দেওয়া কি শরিয়তসম্মত?
কবর জিয়ারতের সময় ৫ বিষয় খেয়াল রাখবেন
তবে, কবরস্থান পূর্ণ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে পুরোনো কবরগুলোতে যেগুলো লাশ মাটি হয়ে গেছে, সেখানে নতুন কবর দেওয়া জায়েজ।
আবার কবরস্থান নতুন মাটি দিয়ে সংস্কার করা হলে এবং নতুন-পুরোনো কবর পৃথক করা না গেলে সেক্ষেত্রে যেখানে নতুন কবর না থাকার সম্ভাবনা বেশি সেখানে কবর খোঁড়া উচিত। এরপর খননের সময় কোনো হাড্ডি ইত্যাদি পাওয়া গেলে তা কবরের এক পাশে বা ভিন্ন স্থানে দাফন করে দিবে।
বিজ্ঞাপন
তবে নতুন কবরের চিহ্ন থাকলে, যেখানে লাশ মাটি হয়ে যাওয়ার প্রবল ধারণা হয়নি, সেখানে বিশেষ ওজর ছাড়া নতুন করে কবর দেওয়া যাবে না।
(তাবয়িনুল হাকায়েক: ১/৫৯৯; আলবাহরুর রায়েক: ২/১৯৫; রদ্দুল মুহতার: ২/২৩৩; ফাতহুল কাদির: ২/১০২)

