সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অনুগত বান্দার তালিকায় নাম লেখানোর গোপন এক আমল

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

অনুগত বান্দার তালিকায় নাম লেখানোর গোপন এক আমল

প্রতিদিন ছোট্ট একটি আমলের কারণে কিছু মানুষ অনুগত বান্দার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। কী সেই আমল? প্রতি রাতে পবিত্র কোরআন থেকে ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করা। যারা এই আমলটি করে, তাদেরকে অনুগত বান্দার তালিকাভুক্ত করা হয়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে ১০টি আয়াত তেলাওয়াত করে সে গাফেল বলে গণ্য হবে না, আর যে ব্যক্তি ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করে সে আনুগত্যশীল বলে গণ্য হবে, আর যে ব্যক্তি এক হাজার আয়াত তেলাওয়াত করে তার জন্য সওয়াবের ভাণ্ডার লেখা হবে।’ (আবু দাউদ: ১৪০০)

রাতে ১০০ আয়াত তেলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে আরেক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করবে, তাকে (আল্লাহর) আনুগত্যশীল বান্দাদের মাঝে লিপিবদ্ধ করা হবে।’ (সিলসিলা সহিহাহ, আলবানি: ৬৪৩; মুসনাদে আহমদ: ১৬৯৫৮; হাদিসটি সহিহ)


বিজ্ঞাপন


আবুল আহওয়াস (রহ.) বর্ণিত আরেক হাদিসে প্রসিদ্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে ৫০টি আয়াত পাঠ করবে, তাকে উদাসীনদের মাঝে লিপিবদ্ধ করা হবে না। আর, যে ব্যক্তি ১০০ আয়াত পাঠ করবে, তাকে আল্লাহর অনুগতদের মাঝে লিপিবদ্ধ করা হবে।’ (দারিমি, আস-সুনান: ৩৪৮৫; তাবারানি, মুজামুল কাবির: ১০১৩৫)

আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে বন্ধু হবে কোরআন

হাদিসে তেলাওয়াতের নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম বলা হয়নি। তাই কোরআন থেকে যেকোনো ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করাই অনুগত বান্দা হিসেবে পরিগণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। এরপরও কিছু ফজিলতপূর্ণ আয়াত ও সুরা নিয়ে ১০০ আয়াতের একটি হিসাব এখানে তুলে ধরা হলো। 

আয়াতুল কুরসি (বাকারার ২৫৫ নং আয়াত) = আয়াতসংখ্যা ১
সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত = আয়াতসংখ্যা ২
সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত = আয়াতসংখ্যা ৩
সুরা আস সফ (৬১ নং সুরা) = আয়াতসংখ্যা ১৪
সুরা মুলক (৬৭ নং সুরা) = আয়াতসংখ্যা ৩০
সুরা কাফিরুন = আয়াতসংখ্যা ৬
সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস (৩ বার করে) = আয়াতসংখ্যা ৪৫
সর্বমোট= ১০১


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: যেসব সুরা রাতে তেলাওয়াতের ফজিলত বেশি

উল্লেখিত হিসাবটি পবিত্র কোরআনের বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আয়াত ও সুরা দিয়ে করা হয়েছে। যাতে একইসঙ্গে দুইটা ফজিলত লাভ করা যায়। প্রথমত বিশেষ ফজিলত লাভ, দ্বিতীয়ত ১০০ আয়াত তেলাওয়াত পূর্ণ করার ফজিলত লাভ। তবে ১০০ আয়াত তেলাওয়াতের ফজিলত লাভে এই হিসাব অনুযায়ী পড়া জরুরি নয়, বরং কোরআনের যেখান থেকে ইচ্ছা ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করাই যথেষ্ট হবে। আর যারা ১০০ আয়াতেরও বেশি, এমনকি এক হাজার আয়াত তেলাওয়াত করতে পারবেন, তারা অনেক বেশি প্রতিদান কিংবা সওয়াবের ভাণ্ডার লাভ করবেন বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। উপরের প্রথম হাদিসটিতে তা বলা হয়েছে। 

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে প্রতিরাতে কমপক্ষে ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন। অন্তত ৫০ আয়াত যেন অবশ্যই পড়তে পারি সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর