সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ওমরায় কি চুল কাটা জরুরি?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২৪, ০৫:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

ওমরায় চুল কাটা জরুরি?

পবিত্র হজের সময় ছাড়া অন্য যেকোনো সময়ে পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফসহ নির্দিষ্ট কিছু কাজ করাকে ওমরা বলা হয়। ওমরা পালনে চারটি কাজ গুরুত্বপূর্ণ। ১. ইহরাম পরিধান করা ফরজ ২. পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করা ফরজ ৩. সাফা ও মারওয়া সাঈ করা ওয়াজিব এবং ৪. মাথার চুল মুণ্ডানো বা ছোট করা ওয়াজিব।

সাফা-মারওয়ায় সাত চক্কর সাঈ শেষ করার পর পুরুষ হলে মাথা মুণ্ডন করবে অথবা মাথার চুল ছোট করবে। এ দুটির কোনো একটি পালন করা না হলে হজ বা ওমরা অনাদায়ী থেকে যাবে। তাই শরিয়ত হজ বা ওমরা পালনকালীন মাথা মুন্ডনকে ওয়াজিব করে দিয়েছে। নারীর ক্ষেত্রে শুধু ছাঁটান জায়েজ। আর যার মাথায় চুল নেই সে শুধু ব্লেড বা চুল কাটার মেশিন পুরো মাথায় ঘুরিয়ে নেওয়াই যথেষ্ট হবে এবং তা ওয়াজিব। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ১/১৪৯)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন
হজ ও ওমরা পালনকারীরা যেসব প্রতিদান পাবেন
নারীর হজ ফরজ হওয়ার শর্ত ও বিশেষ মাসায়েল

মাথার চুল মুণ্ডান বা কর্তন যেকোনো একটির মাধ্যমে মূলত ইহরামের নিষেধাজ্ঞাসমূহ শেষ হয়ে যায়। পুরুষের জন্য হালাল হওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলক তথা পুরো মাথা মুণ্ডিয়ে ফেলা। তবে কসর বা চুল আঙুলের এক গিরা পরিমাণ কেটে খাটো করার মাধ্যমেও হালাল হওয়া যায়। এক চতুর্থাংশের কম মুণ্ডানো বা ছাটা হলে কোনোক্রমেই হালাল হবে না।

মাথায় অসুস্থতা বা ওজর থাকলে চার ভাগের একভাগ চুল হলক বা কসর করলেও ইহরাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। তবে ওজর ছাড়া এমনটি করা যাবে না। হাদিসে এক অংশের চুল কেটে অন্য অংশ রেখে দেওয়াকে নিষেধ করা হয়েছে।

(ফতোয়ায়ে খানিয়া: ১/২৯৬; আলবাহরুল আমিক: ৩/১৭৯৪; বাদায়েউস সানায়ে: ২/৩৩০; রদ্দুল মুহতার: ২/৫১৫; গুনয়াতুন নাসিক পৃ-১৭৩)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর