মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হজে যাওয়ার আগে দেশে কোরবানির ব্যবস্থা করা কি জরুরি?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

হজে যাওয়ার আগে দেশে কোরবানির ব্যবস্থা করা কি জরুরি?

হজ ও কোরবানি দু’টিই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। একটি ফরজ, অপরটি ওয়াজিব। হজ ফরজ হয় পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচের অতিরিক্ত মক্কায় আসা-যাওয়ার খরচ থাকলে। অন্যদিকে কোরবানি ওয়াজিব হয় জিলহজের ১০ থেকে ১২ তারিখ—এই তিন দিন নিসাব পরিমাণ (সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্যের মূল্যের সমপরিমাণ) টাকা বা সম্পদ থাকলে।

হজের মূল কার্যক্রম ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত চলমান থাকে। এদিকে কোরবানি করতে হয় ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সময়ের মধ্যে।


বিজ্ঞাপন


অনেকে ১৫ দিনের কম সময়ের জন্য হজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে দেশে তার কোরবানির ব্যবস্থা করে যান। এটাকে তারা জরুরি মনে করেন। অথচ হাজি সাহেব হজের সফরে থাকার কারণে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। অবশ্য কেউ নফল কোরবানি দিতে চাইলে সেটার অবকাশ আছে। (কাজিখান: ৩/৩৪৪; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৫; আদ্দুরুল মুখতার: ৬/৩১৫)

আরও পড়ুন: হজ ও ওমরা পালনকারীরা যেসব প্রতিদান পাবেন

তবে যদি হজপালনকারী মক্কায় ১৫ দিন বা এরচেয়ে বেশি থাকার নিয়তে যান, তাহলে তিনি সেখানে মুকিম হয়ে যাবেন। তখন তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার জন্য ঈদুল আজহার কোরবানি করা আবশ্যক। এই কোরবানি তিনি চাইলে মক্কায় অথবা নিজ দেশেও আদায় করতে পারবেন। (আদ্দুররুল মুখতার: ৮/৪৩৪; বাহরুর রায়েক: ৮/৩১৮, আল-জাওহিরাতুন-নাইয়িরাহ: ২/২৬৭)

প্রসঙ্গত, হজ আদায়কারী যদি হজে তামাত্তু বা হজে কিরান পালন করে থাকেন, তাহলে তার উপর ‘দমে শোকর’ হিসেবে একটি কোরবানি আবশ্যক হয়। এটি ঈদুল আজহার ওয়াজিব কোরবানি নয়; বরং এটি হজের দমে শোকর বা হজের কোরবানি। তামাত্তু ও কিরান হজের ক্ষেত্রে এটি ওয়াজিব আমল। আর দমে শোকর সৌদি আরবের মক্কাতেই আদায় করতে হবে; অন্য কোথাও আদায় করলে হবে না।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর