জানাজা ফরজে কেফায়া তথা আবশ্যকীয় দায়িত্ব। তবে কোনো এলাকা বা গোত্রের পক্ষ থেকে একজন আদায় করলে অন্যদের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায়। ফলে কোনো কোনো ব্যক্তি জানাজায় যোগ দিতে না পারলেও গুনাহগার হবেন না। নারী-পুরুষ, প্রাপ্তবয়স্ক-সদ্যভূমিষ্ঠ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জানাজা ও দাফন-কাফনের কিছুটা আলাদা নিয়ম রয়েছে।
সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া মৃত শিশুর জানাজার নিয়ম
ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় শিশুর দেহের বেশির ভাগ বের হওয়ার পর নড়াচড়া, কান্না বা জীবিত ভূমিষ্ঠ হওয়ার কোনো লক্ষণ পাওয়া গেলে তার জানাজা পড়তে হবে। আর জীবিত থাকার কোনো লক্ষণ পাওয়া না গেলে তার জানাজা লাগবে না। জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘শিশুর কান্নার শব্দ পাওয়া গেলে সে ওয়ারিশ হবে এবং তার জানাজার নামাজ পড়া হবে।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আল্লাহর শেখানো যে দোয়া পড়ে আদম (আ.) ক্ষমা পেয়েছেন
দেহের বেশির ভাগ বলতে মাথা আগে বের হলে বুক পর্যন্ত এবং পায়ের দিক আগে বের হলে নাভি পর্যন্ত বের হওয়া উদ্দেশ্য।
আর মৃত ভূমিষ্ট শিশুর জানাজা পড়ার নিয়ম নেই, সে মিরাছও পাবে না। কাঁদলে মিরাছ পাবে।
ফতোয়ায়ে হিন্দিয়াতে এসেছে- ‘যে শিশু জন্মের পর কাঁদবে তার নাম রাখা হবে, গোসল দেওয়া হবে, জানাজা পড়া হবে।’
বিজ্ঞাপন
সূত্র: তিরমিজি: ১০৩২; দারেমি: ৩১৭৪ মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ১১৭১৮, বাদায়েউস সানায়ে: ২/৪৭; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১৫৯)