সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ঢাকা

জামায়াতের ঐতিহাসিক ভূমিকা কী ছিল, পরিষ্কার করার আহ্বান আখতারের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৫, ০৫:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

জামায়াতের ঐতিহাসিক ভূমিকা কী ছিল? পরিষ্কার করার আহ্বান আখতারের
প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

নিষিদ্ধ থেকে রাজনীতির সম্মুখভাবে আসা রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক ভূমিকা কী ছিল, তা জনগণের কাছে পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সংস্কার সমন্বয় কমিটি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর: মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।


বিজ্ঞাপন


আখতার বলেন, ‘এ টি এম আজহার সাহেবের মুক্তির মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে যে অধিকার, সেই অধিকার তিনি অর্জন করেছেন। একইসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক ভূমিকা কেমন ছিল, তা জনগণের কাছে পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করতে হবে।’

আরও পড়ুন: পরিবারসহ আখতার হোসেনকে হত্যার হুমকি 

কোনো মানুষ যেন রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে বিচারের মুখোমুখি হয়ে জীবন না হারান, তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন এই এনসিপি নেতা। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই সংগঠক বলেন, ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে হাসিনা আমলের মতো করে নয়, বরং সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, বিচারব্যবস্থার যে ইউনিভার্সাল কোডগুলো রয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতেই যেন বিচার সম্পন্ন হয়।’


বিজ্ঞাপন


আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা যে নতুন দিনের প্রত্যাশা করি, সেই দিনে কোনো নতুন দল বা গোষ্ঠী যেন মানবতাবিরোধী হয়ে কাউকে গণহত্যাকারী বা প্রতিবাদী হিসেবে না গড়ে তোলে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার ও ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নাম সন্ত্রাসীদের খাতায় লিখতে হবে: আখতার হোসেন

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে, অনেকে বলছেন নির্বাচিত সরকার এসে সেই সংস্কার সম্পন্ন করবে। আমরা মনে করি, এই কথার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের ওপর সংস্কারের দায়িত্বভার অর্পণ করে সংস্কারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়ার একটি মানসিকতা তৈরি হয়েছে।’

এনসিপি নেতা মনে করেন, ‘সামনের দিনে যে সরকারই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসুক না কেন, যদি কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসার পরে আবারও জুলাই সেনাদের ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ সেই দলকে অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করবে।’

বাংলাদেশ বর্তমানে একটি প্রান্তিক সময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘এই সময় বাংলাদেশের স্বার্থের প্রশ্নে সবাইকে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।’

আরও পড়ুন: দেশকে পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল আওয়ামী লীগ: আখতার

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পরও বিদেশে চক্রান্তকারী এবং দেশের অভ্যন্তরের আওয়ামী দোসররা নানাভাবে দেশের রাজনীতিকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক দল ও পক্ষগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে কোনোভাবেই বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পাবে না। গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের ওপর আমাদের শপথ নিতে হবে— যেভাবে আমরা বাংলাদেশের প্রতিবাদ দমন করেছি, তেমনি আমরা যেন ফ্যাসিবাদী দানবকে থামাতে পারি।’

আখতার বলেন, ‘আমরা আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে নানা আলোচনা হতেই পারে, নানা কথা উঠতেই পারে। কিন্তু সততা, ভারসাম্য, জবাবদিহিতা ও বিকেন্দ্রীকরণের প্রশ্নে মৌলিক সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই একমত হতে হবে।’

এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর