রোববার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

থিওরিটিক্যালি ও প্র্যাকটিক্যালি বিএনপি ‘আদর্শহীন’

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

থিওরিটিক্যালি ও প্র্যাকটিক্যালি বিএনপি ‘আদর্শহীন’

বাংলার রাজনৈতিক আকাশে এখন অনেক ধরণের শকুন। কেউ মূলধারার শক্তি সেজে অপশক্তি হয়ে উড়ছে। কেউ অশুভ শক্তি হয়ে ভাসতে চাইছে। বিদেশি শক্তিও বলছে, আমরাও সবকিছু বুঝে-শুনে উড়তে চাইব। দেশের রাজনৈতিক দল বিএনপির সমর্থকদের অনেকেই বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শে দেশ পরিচালনা করতে হবে। এমন বক্তব্যগুলো হাসায়। আমার প্রশ্ন, সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের আদর্শটা কি ছিল? আমার মনে হয় না, কারও কাছে কখনও এর উত্তর ছিল বা আজও কারও কাছে আছে।

এদিকে, খুব বড়াই করে তারা জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথাও বলে। অথচ, হ্যাঁ ও না ভোট প্রচলনের মধ্য দিয়ে তিনি প্রহসনের নির্বাচন দিতেন। ক্ষমতার মসনদে বসে নিজের চেয়ার আঁকড়ে রাখতে প্রতিপক্ষ মনে করত বিশেষ ব্যক্তিবর্গদের জীবন থেকে সরিয়েও দিতেন। সে হিসেবে তাঁর চোখ একজন হত্যাকারী হিসাবেই তাঁকে পরিচিত করায়! ওই চোখ নিকৃষ্ট শাসকের! বিএনপি আজ অবধি তাদের আদর্শিক অবস্থানও স্পষ্ট করতে পারেনি।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বিচার করতে হবে দ্রুত

বিএনপি, দলটির বয়স একেবারে কম নয়। অথচ, রাজনৈতিক দল হতে পারল না। ৪৪ বছরের মধ্যে দলটি স্বাধীনতাবিরুদ্ধ শক্তির দ্বারস্থ হয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে অপরাজনীতি করছে। তাঁদের সমাবেশগুলোয় লোক জমায়েত করে দেয় জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজত ইসলামের একাংশ। কথিত আলেমদের অনুসারীরাও তাঁদের সমাবেশে অংশ নেয়। অথচ, দলটি জাতীয়তাবাদ ধারণ করে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার মতো নেতাদের শ্রদ্ধা করে আওয়ামী লীগকে সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ জানাতেই পারত। তা তারা করতে পারেনি। কথায় আছে, যত গর্জে তত বর্ষে না। বিএনপির ১০ ডিসেম্বর তাহলে কী সাক্ষ্য দেয়?

বিএনপি এখন নতুন বছর থেকে স্বভাবসুলভ কায়দায় নাশকতার রাজনীতি করবে। আর আমাদের কষ্ট করে তা প্রতিহত করতে হবে। পুলিশ ভাইদের সমস্যা হবে। তাঁদের ওপর ওরা আক্রমণ চালাবে। দোষ হবে আবার আমার দেশের দেশপ্রেমিক পুলিশ প্রশাসনের। সঙ্গত কারণে, বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে আমি নিজেই এই রাজনৈতিক অপশক্তিকে মোকাবিলা করার ঘোষণা রাখছি।

>> আরও পড়ুন: হুন্ডির কারণে রেমিট্যান্সের বেহাল অবস্থা


বিজ্ঞাপন


প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ নিয়মিত হলে মানুষ মনে করে, পুলিশ দিয়ে চলছে আওয়ামী লীগ। কাজেই আমি দলের হয়ে আলাদা কিছু করতে চাই। কিন্তু, তারা দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ে বোম-ককটেল রাখবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর তা নিক্ষেপ করবে, পুলিশ প্রশাসন তো তখন আর বসে থাকবে না।

বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা ইস্যুতে কোনো আপস করতে পারব না। ঝুঁকি নিয়ে লড়ব। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে এই বিএনপি-জামায়াতকে দাঁতভাঙ্গা জবাবই শুধু নয়, আদর্শিক জায়গা থেকেও তাঁদেরকে পরাভূত করতে হবে। কারণ, থিওরিটিক্যালি ও প্র্যাকটিক্যালি বিএনপি আদর্শহীন। তাঁদের দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয় এবং সংস্কারের পথেও যায়নি তারা।

>> আরও পড়ুন: জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা

অন্যদিকে, জনস্বার্থে তাঁদের কথিত রাজনীতি প্রমাণ করায় না যে, তারা বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে উন্নত চিন্তা করতে পারছে। অথচ, এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য এই রকম ১০ ডিসেম্বরের তারিখ আসতেই থাকবে। আর এই সকল তারিখ মোকাবিলা করতে এবং রাজনৈতিক অপশক্তির ইচ্ছেগুলোর কবর রচনা করেই দেশাত্মবোধে আপ্লুত হয়ে জয় বাংলা ধ্বনিতে থাকতে চাই। বাংলার আকাশে শকুন উড়ত, উড়বে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে সংগঠিত করে শেখ হাসিনার দল ও সরকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ বলে আমি মনে করি।

লেখক: সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বিইউ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর