ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সরবরাহ বন্ধ করে রাখা সাগরে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল এখন পূর্ণমাত্রায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে। এতে গত কয়েক দিন ধরে চলা গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট অনেকটা কাটবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনালের পুনঃসংযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার (২১ মে) মধ্যরাতে ফেসবুক পোস্টে প্রতিমন্ত্রী জানান, সেখানে গত শনিবার রাতের দিকে পুনঃসংযোগ কার্যক্রমের পর টার্মিনাল থেকেও গ্যাসের সরবরাহ শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ফেসবুকে প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা এবং গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) সফলভাবে পুনঃসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে দুটি এফএসআরইউ থেকে পূর্ণমাত্রায় জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ধন্যবাদ আমাদের টেকনিক্যাল টিমকে। তারা নিরলস শ্রম দিয়েছেন। সব সময়ের মতো সংকটকালে পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা জানাই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দকে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এতে ভাসমান টার্মিনাল দুটি থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহজুড়ে গ্যাস-বিদ্যুতের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল সারাদেশের গ্রাহকদের। গ্যাসের অভাবে বিদ্যুতের উৎপাদন নয় হাজার মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল যদিও সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৩ হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। ঘোষণা দিয়ে বাসাবাড়ি ও শিল্প-বাণিজ্যের গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছিল কিংবা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনেও প্রভাব পড়ে। ফলে বেড়ে যায় লোডশেডিং।
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর দুটি টার্মিনাল থেকে এখন ৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এই খাতের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মনে করেন, দেশে গরম ও সেচ মওসুমে দৈনিক ৩৫০০ থেকে চার হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। তবে সর্বোচ্চ ২৯০০ থেকে তিন হাজার এমএমসিএফডি সরবরাহের মাধ্যমে জ্বালানি চাহিদার জোগান দেওয়া হচ্ছে।
ডব্লিউএইচ/জেবি