শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, ঢাকা

ধুলোবালির দাপটে বছিলাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ

মোস্তফা ইমরুল কায়েস
প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:০২ এএম

শেয়ার করুন:

ধুলোবালির দাপটে বছিলাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ

শাহরিয়ার হোসেন একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। আগে উত্তরায় ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে যাতায়াতে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হতো। সেই কারণে তিনি এখন পরিবার নিয়ে থাকেন মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায়। কিন্তু এই এলাকায় এসে আরেক বিপদে পড়েছেন অ্যাজমা রোগী শাহরিয়ার। তিনি বলেন, এই এলাকায় ধুলোবালির দাপট এতটাই বেশি যে মাস্ক ছাড়া চলা কঠিন। প্রতি সপ্তাহে ঘরের জানালা ও আসবাবপত্র পরিষ্কার না করলে ধুলোর পুরো আস্তর পড়ে যায়।

শাহরিয়ার হোসেনের মতো এই এলাকায় আরও কয়েকজনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা সবাই বলেন, বছিলা এলাকায় বসবাসকারীদের প্রতিনিয়ত ধুলোবালির সাথে যুদ্ধ করে চলতে হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


এলাকাবাসী জানায়, আগে প্রতি সপ্তাহে সকাল ও বিকেলের দিকে সিটি করপোরেশনের একটি পানি ছিটানো গাড়ি আসতো। কিন্তু এখন সেটিও তেমন আসে না। আর আসলেও কোনোরকমে দ্রুত পানি দিয়ে চলে যায়।

>> আরও পড়ুন: বায়ু দূষণে কমছে আয়ু

সরেজমিন বছিলা ব্রিজ থেকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত পায়ে হেঁটে দেখা গেছে, প্রধান সড়ক থেকেই মূলত ধুলোবালি ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে মোহাম্মদপুর থেকে ঘাটারচরগামী সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর কারণে ধুলোবালি ছড়িয়ে পড়ছে। পরে সেই ধুলোবালি বাতাসে উড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকাগুলোতে। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষকেই মাস্ক ব্যবহার করে চলতে দেখা গেছে।

dm


বিজ্ঞাপন


এই ধুলোবালি ছড়িয়ে পড়ছে মেট্রো হাউজিং, বছিলা সড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকাগুলোতে। ধুলোবালির কারণে অবস্থা এতটাই নাজুক যে, বছিলা সড়কের দুই পাশে অনেক দোকানের মালিক তাদের দোকান গ্লাস দিয়ে ঘিরে নিয়েছেন।

বছিলা সড়কের ব্রিজের মুখের দক্ষিণের ঢালে চায়ের দোকান রুবেল সরকারের। তিনি জানান, ধুলোবালির কারণে তার দোকানে ক্রেতারাও বসতে চান না। তারপরও জীবিকার তাগিদে দোকান চালাচ্ছেন।

>> আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ রোধে ‘অ্যাকশন’ শুরু

মেট্রো হাউজিং এলাকার কাজী জাহিদ বলেন, ধুলোবালির কারণে এই এলাকা থেকে অনেকে এখন বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। গত বছর কিছুটা ভালো ছিল। কিন্তু চলতি বছর অবস্থা খুবই খারাপ। বাইরে বের হলেই ধুলায় মাথার চুল সাদা হয়ে যায়।

তিনি জানান, ধুলোবালি এত বেশি যে এই এলাকার অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের জানালা তেমন একটা খোলেন না। এমনকি মুদি দোকানগুলোতেও অনেকে গ্লাস লাগিয়ে ব্যবসা করছেন।

বছিলা এলাকার প্রধান সড়কের দুই পাশের প্রতিটি গাছের পাতায় ধুলোর পুরো আস্তরণ জমেছে।

>> আরও পড়ুন: ধুলার রাজ্যে অসহায় রাজধানীবাসী

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রতিদিন কম-বেশি ওই এলাকায় পানি ছিটানোর গাড়ি আসে। তারা কাজ করেন। সম্প্রতি একটু হয়তো ধুলোবালি বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এমআইকে/জেএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর