বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ঢাকা

শিশুস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে শব্দ দূষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০১:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

শিশুস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে শব্দ দূষণ

সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি শব্দ দূষণের কবলে রাজধানীর সব এলাকা। রাজধানীতে শব্দ দূষণ মারাত্মক পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। গবেষকদের মতে রাজধানীর প্রায় সব এলাকাতেই শব্দ দূষণ মাত্রার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। এ কারণে ক্ষতি হচ্ছে সব বয়সী মানুষ। বিশেষ করে শিশুরা বেশি করে মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শব্দ দূষণের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস, বধিরতা, হৃদরোগ, খিটখিটে মেজাজ, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বিঘ্নিত হওয়া, ঘুমের ব্যাঘাতসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

আরও পড়ুন: নীরব ঘাতক শব্দ দূষণ, নেই প্রতিকার


বিজ্ঞাপন


পরিবেশেবাদী ও বিশেষজ্ঞরা জানান, শব্দ দূষণের প্রধান কারণগুলো হলো- যানবাহনের জোরালো হর্ন ও ইঞ্জিনের শব্দ, যানবাহন চলাচলের শব্দ, বিভিন্ন নির্মাণ কাজের শব্দ, মেশিনে ইট ও পাথর ভাঙার শব্দ, ভবন ভাঙার শব্দ, কলকারখানা থেকে নির্গত শব্দ, গ্রিলের দোকানে হাতুড়ি পেটানোর শব্দ, জেনারেটরের শব্দ, নির্বিচারে লাউড স্পিকারের শব্দ, দোকানে উচ্চ আওয়াজে গান বাজানোর শব্দ, উড়োজাহাজের শব্দ ইত্যাদি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণা অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষের শ্রবণশক্তি লোপ পেয়েছে, যার মধ্যে ২৬ শতাংশই হচ্ছে শিশু। শব্দ দূষণের কারণে শিশুরা কানে কম শোনা, শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থায়ী মাথাব্যথা, ক্ষুধামন্দা, অবসাদ, নিদ্রাহীনতাসহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঢাকায় ৫৬ ভাগ ট্রাফিক পুলিশ কানে কম শোনেন

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমান লিটু ঢাকা মেইলকে বলেন, স্বাভাবিকভাবেই শিশুদের ওপর শব্দ দূষণের প্রভাব বেশি পড়ছে। সাধারণত বড়দের থেকে শিশুদের কানের পর্দা অনেক কোমল থাকে। এ কারণে তাদের ওপর প্রভাবটা বেশি পড়ে। বড়রা একটা সাউন্ড যেভাবে রিসিভ করতে পারে ছোটরা সেটা পারে না। এখন অনেক শিশুই কানে কম শোনে। নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এবং এসব রোগীদের একটা বড় অংশ শিশু।


বিজ্ঞাপন


জিয়াউর রহমান লিটু আরও বলেন, শিশু শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাসে থাকে তখন শব্দ দূষণের কারণে তাদের মনোযোগ ব্যাহত হয়। তারা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে না। এটা শুধু শিশুদের ক্ষেত্রেই নয়, শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হচ্ছে। এ রকম অনেক জায়গায় শব্দ দূষণ যেন কমন সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এর একটা আইন আছে। এটার যথাযথ প্রয়োগ হওয়া উচিত।

টিএই/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর