শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অফিসের নতুন সূচি, মন ভালো নেই অনেক কর্মজীবীর

ওয়াজেদ হীরা
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২, ০৫:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

অফিসের নতুন সূচি, মন ভালো নেই অনেক কর্মজীবীর

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তা হাছিনা আক্তার (ছদ্মনাম)। দুই দিন ধরে তার মন ভালো নেই। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার অফিসের নতুন যে সময়সূচি নির্ধারণ করেছে এ কারণেই তার মন ভালো নেই। তিনি বলেন, আমার বাচ্চাটাকে বাসার কাজে সাহায্যকারী ঠিকমতো স্কুলে নিয়ে যেতে পারছে কি না এটা নিয়ে টেনশনে থাকি। আগে নিজে নামিয়ে দিয়ে অফিসে আসতাম। এখন বাচ্চার স্কুল আর আমার অফিস একই সময়ে। বাচ্চার বাবাকে আরও আগে বের হতে হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অফিসের নতুন সময়সূচি নিয়ে হাছিনা আক্তারের মতো অনেক কর্মকর্তার মন খারাপ। অফিসে নিজেদের মধ্যে এটা নিয়ে কথাবার্তা হলেও সেটি তারা বাইরে প্রকাশ করতে পারছেন না। কারণ সরকারি চাকুরে হিসেবে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনেই চাকরি করতে হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার (২৪ আগস্ট) থেকে নতুন সময়সূচিতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী, সকাল আটটা থেকে সরকারি অফিস শুরু হয় চলে তিনটা পর্যন্ত। আর সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ব্যাংকের সময়সূচি চলে ৪টা পর্যন্ত। এই সময়সূচিতে কর্মজীবী নারীদের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছেন পুরুষ কর্মজীবীরাও। তবে কেউ কেউ এটিকে ভালো উদ্যোগও বলছেন।

সকালে অফিস হওয়াতে বেশি সমস্যায় পড়ছেন কর্মজীবী নারীরা। তাদের বেশির ভাগ পরিবারের রান্না ঘরের কাজ সামলে অফিসমুখী হতে হয়। আবার অনেক পুরুষ কর্মজীবী তার সন্তানকে স্কুলে দিয়ে অফিসের পথ ধরেন। এখন এই হিসাব মিলছে না অনেকের। যারা সন্তানদের সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার শিফটে ভর্তি করিয়েছিলেন তাদের বিড়ম্বনাই বেশি।

কী বলছেন সরকারি চাকুরেরা


বিজ্ঞাপন


গত দুই দিনে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মজীবীদের সাথে কথা হয় ঢাকা মেইলের। পরিকল্পনা কমিশনের অন্তত ২০ জন জানিয়েছেন, তাদের সকালের অফিসের সমস্যার কথা। কৃষি মন্ত্রণালয়সহ মন্ত্রণালয়ের দুটি অধিদফতরের ১৫ জনের অধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারাও নানা সমস্যার কথা জানান। আবার কমপক্ষে ১০ জন এটিকে ভালো উদ্যোগ হিসেবে আখ্যা দেন।

office3

খাদ্য ভবনে কাজ করেন শরিফা বেগম (ছদ্মনাম)। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, দুই দিন ধরে অফিস করছি। ভোর ৫টায় উঠে সব রেডি করতে হয় তাড়াতাড়ি। বাসাটা অফিসের একটু কাছে, দূরে হলে আরও আগে উঠতে হতো। যাদের বাসা দূরে তারা বেশি সমস্যায়।

আরও পড়ুন: নতুন অফিস সময়সূচিতে নারীদের বাড়তি ভোগান্তি

খাদ্য ভবনে রুমে রুমে অফিসের নতুন সূচি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলতে দেখা গেছে। একই দৃশ্য দেখা গেছে, বিদ্যুৎ ভবনেও। গত দুই দিনে এই প্রতিবেদক পরিকল্পনা কমিশন, কৃষি সম্প্রসারণ, খাদ্য ভবন, মৎস্য ভবন, বিদ্যু ভবন, পানি ভবনে ঘুরে দেখেন, নতুন সূচিতে অফিস করার দৃশ্য। সবাই ঠিকঠাক সময়ে অফিস করছেন। তবে অফিসে কাজের ফাঁকে নতুন সূচি নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনাও করছেন তারা। অপরিচিত কেউ এলে বা বিশ্বস্ত সহকর্মী না হলে সেই আলোচনা হঠাৎই থামিয়ে দিচ্ছেন।

বুধবার (২৫ আগস্ট) মৎস্য ভবনের ছয় কর্মকর্তার এক আলোচনায় অংশ নিলে এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে চাই। তবে সরকারের উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য হলো, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হবে। এক ঘণ্টা অফিস সূচি কমানো হয়েছে, কিন্তু এটি পেছনের দিক থেকে হলে আরও ভালো হতো, যানজটও কমতো।

আলোচনায় উপসচিব পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তা বলেন, আগে সাড়ে ৮টা থেকে জ্যাম শুরু হতো, এখন সাড়ে ৭টায় শুরু হয়। পেছনের জ্যাম কমেনি, সেটা আগের মতোই আছে। ব্যাখা দিয়ে বলেন, সাতটার পর থেকে রাস্তায় অফিসগামীদের গাড়ির চাপ বাড়ে। ৮টার পর থেকে ব্যাংকারদের ভিড়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বের হয়। বিকেলে তিনটা থেকে সরকারি অফিস ছুটি, এরপর ৪টায় ব্যাংকারদের ছুটি। এরমধ্যে স্কুল-কলেজের বিষয় আছে। এই জ্যাম সন্ধ্যা গড়ায়। আবার সন্ধ্যার পর মার্কেটের ছুটি। সবমিলে সেই রাত ৯টা পর্যন্ত, যা আগেও ছিল।

আরও পড়ুন: ভিন্ন এক সকাল দেখল ঢাকাবাসী

আরেক কর্মকর্তা বলেন, এসব আলোচনা বাইরে করবেন না। বলবে সরকারের সমালোচনা করছি। আসলে আমরাও মনে করি সিদ্ধান্ত ভালো, তবে ৯টা ঠিক রেখে ৩টা বা ৪টা পর্যন্ত অফিস সূচি করা যেতো। আমাদের ঊর্ধ্বতন আমলা যারা সিদ্ধান্ত নেন, তাদের কাজের সাহায্যকারী আছেন সরকারি খরচে, আমাদের বাসায় সেটা নেই। আমাদের বাচ্চা কাচ্চা অফিসে নেওয়ার জন্য আলাদা গাড়ি নেই। এজন্য সমস্যাটা 'মিড লেভেলে' বেশি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আসলে দুদিন ধরে সহকর্মীরা তাদের সমস্যার কথা বলছিলেন। আমার সমস্যা হচ্ছে না, তবে এখানে অনেকের হচ্ছে। কোনো পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজনই কর্মজীবী, সেখানে আরও সমস্যা বেশি। তবে সাময়িক সিদ্ধান্ত, সবাইকে মেনে নিতেই হবে।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ৯টা থেকে ৫টা অফিস সূচি যখন ছিল তখন ১০টার আগে কিন্তু কাজ তেমন শুরু হয় না। আবার ওদিকে চারটার পর কাজ কমে যায়। যাদের খুব দরকার তারা ৫টা ৬টা পর্যন্তও অফিসে থেকে কাজ করেন। এখন নতুন সূচিতেও দেখা যাচ্ছে ৮টায় অফিস হলেও কাজ শুরু হচ্ছে সাড়ে নটায় বা ১০টায়। হাজিরা দিয়ে ডেস্কে বসে ফাইলে কাজ শুরু করতে করতে এক দেড় ঘণ্টা চলে যাচ্ছে। তাহলে এদিকে শুরুটা ঠিক রেখে যদি শেষের দিকে কমানো যেতো বিদ্যুতের সঠিকভাবে সাশ্রয় হতো।’

আরও পড়ুন: পরামর্শ করেই ৮টায় অফিস শুরুর সিদ্ধান্ত: প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ

প্রাণিসম্পদ অদিফদতরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমি সকালে নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হতাম। এখনো হাঁটি একটু কম। আমার সাথে পূর্ত ভবনে একজন হাঁটতেন। তিনি নাকি সময় কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। তাই দুই দিন ধরে আসছেন না। ফোনে দুঃখ প্রকাশ করলেন।’

office4

অধিদফতরের এক নারী কর্মকর্তা বলেন, ‘সচিব বা অতিরিক্ত সচিব পর্যায় বাদ দিলে আমাদের দেশে নারী কর্মজীবীদের একটা বড় অংশ বাসার কাজ গুছিয়ে অফিস করতে হয়। ছোট সন্তান থাকলে তাদের 'টেককেয়ার' স্কুলে যাওয়ার বিষয় ভাবতে হয়, এসব একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। সিদ্ধান্তটা ভালো, তবে সূচিটা এলোমেলো মনে হচ্ছে। অনেকেই আমাদের সিনিয়র স্যারদের বোঝান যে, সকালে লাইট ফ্যান এসি কম চালানো হয়। আসলে কোনো কর্মকর্তা অফিসে যখনই ডুকবেন তখনই তিনি এসি বা ফ্যান লাইট চালাবেন। হয়তো কিছুক্ষণ পর সেটি প্রয়োজন মতো বন্ধ রাখবেন। বরং আমরা যারা অফিস সূচির সাথে মিলিয়ে আমাদের সন্তানদের সকালের শিফটে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি তারা একটু বিড়ম্বনায় আছি।’ সূচিতে সংশোধন আনা হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকের পান্থপথ ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন সূচিটা ভালো উপভোগ করছি। যারা সকালে উঠে অভ্যস্ত নয় তাদের হয়তো কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ব্রাক ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কিন্তু সময় আগানো হয়েছে, কিন্তু কমেনি। কেননা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলেছে, ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। মানে হচ্ছে আট ঘণ্টাই। এখানে বলা দরকার, ৩টা পর্যন্ত লেনদেন হবে। এরপর ব্যাংকের লেনদেন থাকে, যা ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। আগে ৫টা পর্যন্ত অফিস থাকলেও ব্যাংকের কাজ শেষ করতে ৮টা ৯টা বেজে যেতো। এখন ৫টার পর কোনো কর্মকর্তা ব্যাংকে থাকবে না।

‘এই সিদ্ধান্তে জ্যাম আরও বাড়বে’

বাহান্ন নিউজের সম্পাদক বিভাষ বাড়ৈ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্য যে, আমলানির্ভর চিন্তা করে কাজ করলে কোনো কাজেই ফল আসে না, আসবেও না। এই সিদ্ধান্তে জ্যাম আরও বাড়বে। এমনিতে অফিস মোটামুটি ১০টায়ই পুরোপুরি শুরু হয়। সময় সকালে এনে সমস্যা তৈরি করা হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নারী চাকরিজীবীর পরিবার আছে। হাতেগোনা দুই চারজন বড় কর্তার পরিবার ছাড়া দেশের প্রত্যেক নারীর সকালবেলা উঠে আগে ঘরের কাজ করতে হয়, তারপর অফিসে যেতে হয়। এটা বাংলাদেশ, এই দেশের বাস্তবতা তাদের আমলাদের ভাবনায় আসে না৷ রাজনৈতিক সরকারের অন্তত এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত ছিল।’

আরও পড়ুন: অফিস ৮টায় হলেও ৯টাতেও দেখা নেই কর্মকর্তাদের

বিজয় সরনিতে দায়িত্বরত ট্রাফিক বিভাগের এক কমকর্তা বলেন, ‘এটা ঠিক, গাড়ির চাপ সকালেই বাড়তে থাকে। অফিস সকালে গাড়ির চাপ থাকবে, এটা স্বাভাবিক। তবে দুপুরের দিকে চাপ কম থাকে, আবার দুপুরের পর বাড়তে থাকে।’

GGG

মানবাধিকারকর্মী ও ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবির ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘একসময় এরশাদের আমলে ৭টা থেকে অফিস ছিল। অনেক বছরই ৭টা থেকে ২টা পর্যন্ত ছিল, পরে পরিবর্তন হয়েছে। নারীদের কিছু সমস্যা হবে এটি বাস্তব বিষয়। এখন একজনের চাকরিতে সংসার চলে না, উভয়কেই করতে হয়। ভালোভাবে সংসার চালাতে গেলে দুজনকেই করতে হয়। এখানে মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। বাড়ির কাজ দুজনকেই করতে হবে, বিদেশে এসব হয়।’

খুশি কবির বলেন, ‘নতুন সূচিতে বাচ্চাদের নিয়ে অনেকের সমস্যা হচ্ছে। সরকারি স্কুলের চেয়ে প্রাইভেট স্কুল বেশি। সরকারি বেসরকারি স্কুলে বাসের সিস্টেম যেটি বিদেশে আছে এটি সহজলভ্য থাকলে  অভিভাবকদের চিন্তা কম হতো। বাচ্চাদের স্কুলে নামানো-উঠানো এটিতো আসলেই একটি চিন্তার বিষয়।’

 তিনি বর্তমান সূচির সাথে তাল মিলিয়ে চলার কথা জানিয়ে বলেন, ‘কিছু সিস্টেমে পরিবর্তন আনা যায়। নিজেদের সুবিধার্থে সময় মেনে চলতে রান্নাবান্না শটকার্ট পদ্ধতিতে করা যায়। ভারত-শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোতে দেখছি, স্বামী-স্ত্রী উভয়ে চাকরি করে। ঝটপট কাজের পদ্ধতি তারা বের করে। তাদের মসলাও বাটতে হয় না। সূচির সাথে মানিয়ে এসব আমাদেরও করতে হবে।’

office2

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ বুধবার (২৪ আগস্ট) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের বলেন, সকাল থেকে বিদ্যুতের পরিস্থিতি লক্ষ্য করছিলাম। সেখানে ডেসকো ও ডিপিডিসিতে খবর নিয়েছি, সেখানে দেখলাম, আগে যে নিয়ম ছিল সকাল ১০টায় বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়ত, এখন সেখানে সকাল ৯টায় বাড়তে শুরু করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডেসকো ও ডিপিডিসির পিক আওয়ার দুপুর থেকে শুরু হতো, এখন সেটা এগিয়ে আনতে পারলে ব্যালেন্স করতে সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন: সরকারি অফিসের নতুন সময়সূচি নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি 

নতুন সূচির প্রথম দিন সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ এর অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বলা হয়েছিল সকালে স্কুল আছে, সেক্ষেত্রে অফিসের নতুন সূচি কনফ্লিক্ট করবে কি না? এক্ষেত্রে আমরা চিন্তা করেছিলাম, আগে আমরা দেখি, এটা কনফ্লিক্ট করে কি না। কারণ আমাদের বেসরকারি অফিস কিন্তু ৯টা থেকে আগের সময়েই। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৯টা থেকে। তবে আজকে আমরা যে পরিস্থিতি লক্ষ্য করেছি এটি সহনীয় ও সরকারি সিদ্ধান্তটি সঠিক আছে। এখানে কোনো সমস্যা নেই।

নতুন অফিস সূচি কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে কি না- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বা এপিএ রয়েছে। সারা বছর আমরা কী কাজ করবো তা নির্ধারিত থাকে। আমরা সরকারি সেবাটা মানুষের কাছে পৌঁছে দেব, সেজন্য দরকার আন্তরিকতা। আমরা সব অফিস প্রধানকে নির্দেশনা দিচ্ছি, এ অল্প সময়ের মধ্যে তড়িৎ গতিতে স্মার্টলি আমাদের কাজগুলো করতে হবে।

ডব্লিউএইচ/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর