ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে টানা চার মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়েছে গত আগস্টে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ‘আপা’ সম্বোধন করা শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। দিনটিতে আনন্দ শোভাযাত্রায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে!
এদিকে মাঝে মধ্যে টেলিফোনে দেশে চলে আসবেন বলে নেতাকর্মীদের আশ্বাস দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। সোমবারের (১৪ এপ্রিল) আনন্দ শোভাযাত্রায় তার মুখচ্ছবি থাকায় অনেকেই বলছেন দূরে থাকলেও সঙ্গেই আছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী! একই সুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম বললেন, ‘আপা তার ওয়াদা রাখলেন, ফিরে আসলেন আরও ভয়ংকর রূপে!’
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক প্রোফাইলে এই স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
ফ্যাসিস্টের যে মুখাকৃতিটি আগে বানানো হয়েছিল সেটাতে রাতের আঁধারে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সিসি টিভি ফুটেজে এক যুবক শনাক্ত হয়েছেন। দাবি করা হচ্ছে, সেই যুবক ছাত্রলীগ কর্মী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পরে দুই দিনের মধ্যে আরেকটি মুখাকৃতি বানানো হয়। অনেকে বলছেন, আগেরটার চেয়ে পরেরটা আরও ভয়ংকর হয়েছে। ‘আপা’ আগের চেয়ে আরও ভয়ংকররূপে ফিরে এলেন।
এর আগে সকাল ৯টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্যে বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, কৃষক ও রিকশাচালক প্রতিনিধি, নারী ফুটবলার এবং ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
শোভাযাত্রা বর্ণিল মুখোশ, রঙিন পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জায় উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতীকী মোটিফ যেমন- তরমুজের ফালি ব্যবহৃত হয়।
বিইউ/জেবি