ঘুম থেকে ওঠার পর হাই ওঠা স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে সকাল থেকে রাত অব্দি এমনটা চলতেই থাকে। বাড়িতে কিংবা বাসে যেখানেই থাকুন না কেন হাই ওঠা চলতেই থাকে। অনেকেই একে ক্লান্তির লক্ষণ বলে এড়িয়ে যান। তবে ঘন ঘন হাই তোলা হৃদরোগেরও পূর্বলক্ষণ হতে পারে। সম্প্রতি ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’ থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
গবেষকদের মতে, শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত থাকলে কিংবা ভালোভাবে ঘুম না হলে ঘন ঘন হাই উঠতে পারে। কিন্তু যদি এমনটা হয় যে ঠিকমতো বিশ্রাম নেওয়ার পরও হাই উঠেই যাচ্ছে তাহলে তা গুরুতর কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
বিজ্ঞাপন
হৃদরোগের লক্ষণ বলতে বেশিরভাগ মানুষই বোঝেন বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো বিষয়। কিন্তু ছোটখাটো এমন আরও কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো অনেকে এড়িয়ে যান। যা পরবর্তীতে বড় বিপদের কারণ হতে পারে। এমনই একটি লক্ষণ হতে পারে হাই ওঠা।
আরও পড়ুন- ঘন ঘন হাই তোলা কীসের লক্ষণ?
হৃৎপিণ্ডের আশপাশে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলেও হাই ওঠে। আবার যদি হৃদপেশির সঙ্কোচন ও প্রসারণে সমস্যা হয়, হৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়, তখনও ঘন ঘন হাই উঠতে পারে। এমনকি এ-ও দেখা গিয়েছে, স্ট্রোকের আগে এবং পরে অস্বাভাবিক ভাবে হাই ওঠে অনেকের।
বিজ্ঞাপন
কেন হাই ওঠে তা নিয়েও নানা মুনির নানা মত রয়েছে। তবে গবেষকদের মতে, স্নায়ু সংক্রান্ত জটিলতা বাড়লে অতিরিক্ত হাই উঠতে পারে। তাই শরীর ক্লান্ত না থাকলেও কিংবা বিনা কারণে যদি হাই তোলার সমস্যা বাড়তে থাকে তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বিশেষ করে রক্তচাপ বেশি থাকলে, উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে, দেরি করা উচিত হবে না। বংশগতভাবে যাদের পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের এ বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, কম বয়স থেকেই অর্থাৎ মোটামুটি ২০-২৫ বছর থেকেই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ দেখতে হবে। লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করে খুব সহজেই দেখা যেতে পারে কোলেস্টেরল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কি না।
আরও পড়ুন- রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে কেন, কী খাওয়া মানা
পরিবারে কোলেস্টেরলের ইতিহাস না থাকলেও, ৩০-৩৫ বছর বয়স থেকে লিপিড প্রোফাইল স্ক্রিনিং করাতে হবে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সিরাই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। হার্টের ধমনী অর্থাৎ করোনারি আর্টারি ব্লক হয়ে গিয়ে আচমকা হার্ট অ্যাটাকে বিপদ ঘটছে। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া জরুরি।
এনএম