কখনো কি খেয়াল করেছেন দিনে কতবার হাই তুলছেন? এই বিষয়টি তেমনভাবে কেউ খেয়াল করেন না। হাই এমন একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যার ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ইচ্ছে করলেই যে হাই উঠবে, এমনটা নয়। আবার ইচ্ছে না হলেও যে সারাদিনে একবারও এমন ঘটনা ঘটবে না, তেমনটা নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, হাই ওঠে কেন?
হাই ওঠার পেছনে আদৌ নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কিনা সে বিষয়ে গবেষকরা নিশ্চিত নন। তবে এ কথা নিশ্চিত যে, মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তি বা অনেক কাজের কারণে হাঁপিয়ে উঠলে হাই ওঠে।
বিজ্ঞাপন
হাইয়ের মাধ্যম অনেকটা পরিমাণ অক্সিজেন আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছায়। ফলে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে হাই ওঠা স্বাভাবিক। তবে এর মাত্রা যখন অনেক বেশি হয়ে যায় তখন সাবধান হওয়া জরুরি। বড় কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে এটি। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
ইনসোমনিয়া
ইনসোমনিয়া কিংবা মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে যদি দিনের পর দিন রাতে ঘুম না হয়, তবে ঘন ঘন হাই উঠতে পারে। এমনটা হলে সাবধান হোন। শরীর সুস্থ রাখতে রাতে কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। এর ঘাটতি হলে বড় ধরণের রোগের আশঙ্কা বাড়ে।
বিজ্ঞাপন
অনেক সময় স্লিপ অ্যাপনিয়া বা narcolepsy-এর কারণেও মিনিটে মিনিটে হাই উঠতে পারে। বুকে অস্বস্তি, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার পাশাপাশি যদি বারবার হাই ওঠে, তাহলে হাসপাতালে গিয়ে ইসিজি করান। এগুলো হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
আরও যেসব রোগ হতে পারে
১. এপিলেপসি
২. multiple sclerosis-এর মতো নিউরোলজিকাল ডিজঅর্ডার
৩. লিভার ফেলিওর
৪. ব্রেন টিউমার
৫. স্ট্রোক
৬. হার্টের আশেপাশে রক্তক্ষরণ
মনে রাখবেন, হঠাৎ করে হার্ট রেট বা ব্লাড প্রেসার কমে গেলে হাই উঠতে পারে। এ বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
ঠিকঠাক ঘুম হওয়ার পরও যদি হঠাৎ করে বার বার হাই ওঠা সমস্যা দেখা দেয় তবে সাবধান হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে ইসিজি করাতে পারেন। এতে দ্রুত রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে।
নতুন কোনো ওষুধ খাওয়া শুরু করার পর থেকেই কি এমনটা হচ্ছে? তাহলে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন। অনেক সময় কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও বারে বারে হাই ওঠে।
এনএম