শীত রাজত্ব চালাচ্ছে প্রকৃতিতে। আর এসময় মানুষ এমন খাবার খেতে চায় যা শরীরে উষ্ণতা সৃষ্টি করবে। অনেকে শীতে উষ্ণ দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খান। এতে কি উপকার মেলে? নাকি ক্ষতি হয় শরীরের? চলুন জেনে নিই-
শীতে শরীর গরম রাখতে উষ্ণ দুধের সঙ্গে খেজুর খাওয়ার চল বেশ পুরনো। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও প্রাচীন এই টোটকা বেশ কাজের। প্রোটিনে ভরপুর একটি উপাদান দুধ। অন্যদিকে খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা। দুটো উপাদান একসঙ্গে মেশালে তৈরি হয় দারুণ এক শক্তিবর্ধক পানীয়।
বিজ্ঞাপন
শরীরচর্চার পর খুব ক্লান্ত লাগলে এই পানীয়তে চুমুক দেওয়া যায়। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, রাতে ঘুমানোর আগে এই পানীয় খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে।
আরও পড়ুন- দুধের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে খাওয়া কি ভালো?
অন্ত্র ভালো থাকে
বিজ্ঞাপন
খেজুরে সহজপাচ্য ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই নিয়মিত উষ্ণ দুধের সঙ্গে খেজুর খেলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়, অন্ত্র ভালো থাকে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়
যাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম তারা এই পানীয়তে ভরসা রাখতে পারেন। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। শিশু, বয়স্ক বা নারীদের রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যা থাকলে উষ্ণ দুধে খেজুর মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
আরও পড়ুন- খেজুর খেলে যেসব রোগ নিরাময় হয়
হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়
দুধ ও খেজুর— দুটোতেই ক্যালশিয়াম রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে এই খনিজটি বিশেষভাবে প্রয়োজন। এছাড়াও খেজুরে আছে ম্যাগনেশিয়াম যা ক্যালশিয়াম শোষণে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত দুধ আর খেজুরের এই পানীয় খেলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ বশে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে দুধ ও খেজুরের মিশ্রণ। এতে আছে আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এর মতো উপকারি সব উপাদান। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করে। ফলে সংক্রমণজনিত সর্দিকাশি ঠেকিয়ে রাখা যায়।
অনিদ্রা সমস্যা দূর করে
রাতে ঘুম আসে না? ঘুমানোর আগে দুধ আর খেজুরের মিশ্রণ খেয়ে দেখুন। দুধে রয়েছে ‘ট্রিপটোফ্যান’ নামক উপাদান, যা ঘুমের সঙ্গে জড়িত হরমোনের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, যা স্নায়ুর উত্তেজনা বজায় রাখতে পারে। তাই নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের পথ্য হতে পারে এই পানীয়।
এই শীতে সুস্থ থাকতে তাই নিয়মিত এক গ্লাস উষ্ণ দুধে দুটো খেজুর মিশিয়ে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে খেজুর সারাদিন অল্প পানিতে ভিজিয়ে রেখে ব্লেন্ড করে নিন। দুধ গরম করে তাতে এই মিশ্রণ মিশিয়ে নিন।
এনএম