শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

সিলেটে পর্যটকদের আপ্যায়নের নতুন ঠিকানা ‘ফুড কোর্ট’

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
ফুড পার্কে ভিড় করছেন নগরবাসী ও পর্যটকেরা। ছবি: সংগৃহীত

পর্যটন নগরী সিলেটে মনোরম পরিবেশে চালু হয়েছে ‘ফুড কোর্ট’। সেখানে মিলছে বাহারি আইটেমের খাবার। প্রতিদিন ভিড় করছেন ভোজন রসিকরা। মনোরম ও খোলামেলা পরিবেশে সুন্দর সময় কাটাতে পেরে খুশি নগরবাসী এবং ঘুরতে আসা পর্যটকেরা।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনেই এই ‘ফুট পার্ক’ গড়ে তোলা হয়েছে। এতে বাহারি খাবারের ১২টি দোকান রয়েছে। সেখানে সুলভমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী নানা খাবার। একান্তে সময় কাটানোর জন্য রয়েছে ওপেন স্পেস। আছে শিশুদের খেলাধুলার জন্য ‘কিডস জোন’।


বিজ্ঞাপন


প্রায় আট মাস আগে কয়েকজন উদ্যোক্তা মিলে এই ‘ফুড পার্ক’ গড়ে তোলেন। বিমানবন্দরে ঠিক সামনে এবং চা বাগান পরিবেষ্টিত হওয়ায় শুরু থেকেই সাড়া মিলে এই ফুড পার্কে। ছুটির দিন ছাড়াও নগরবাসী প্রায় প্রতিদিনই ছুটে আসছেন এখানে। এছাড়া এয়ারপোর্টের যাত্রী সাধারণ, সিলেটের বিখ্যাত পর্যটন স্পট সাদা পাথর ও বিছনাকান্দি ঘুরতে যাওয়ার রাস্তায় হওয়ায় পর্যটকরাও এখানে ভিড় করেন।

আরও পড়ুন

প্রকৃতিপ্রেমীদের হাতছানি দিয়ে ডাকে সিলেট

ঢাকা থেকে সিলেটে ঘুরতে আসা ইলয়াস হোসাইন বলেন, ফুড পার্কের পরিবেশ দেশে সত্যিই আমরা মুগ্ধ। আমরা এখানে সুন্দর সময় কাটিয়েছি। এখানে অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবারও পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ‘বাবুর্চি’র চাপ ও বিরিয়ানি খেয়েছি। অসাধারণ লেগেছে। এছাড়া এখানকার চালের রুটি আর হাঁসের মাংসের সুনাম শুনেছি।

Food2


বিজ্ঞাপন


সিলেট শহর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাসানুজ্জামান জানান, তিনি আগেও কয়েক বার এখানে এসেছেন। শহরের কোলাহলমুক্ত পরিবেশে সময় কাটাতে সুযোগ পেলেই পরিবার-পরিজন নিয়ে আসেন। এখানকার খাবারের মান ভালো, দামও হাতের নাগালে। এছাড়া শিশুরা এখানে এলে আনন্দ পায় বলে জানান তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম উদ্যোক্তা তাহমিম সোবহান জানান, সিলেট শহরে আরও ফুডকোর্ট থাকলেও শহরের বাইরে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে আর নেই। তারাই প্রথম এখানে এটি করেছেন। এয়ারপোর্টের কাছাকাছি হওয়ায় শুরু থেকেই সাড়া মিলছে বেশ। ছুটির দিনগুলোতে এখানে এসে স্থান পাওয়া কঠিন হয়ে যায় বলে জানান তিনি। 

আরও পড়ুন

ঢাকা-সিলেট রুটে বিমান ভাড়া কত?

তাহমিম সোবহান জানান, চা বাগানবেষ্টিত মনোরম পরিবেশ হওয়ায় এখানে এসে সবাই মুগ্ধ হয়। খাবারের পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা থাকায় শিশুরা এখানে বেশি মজা পায়। আগামীতে শিশুদের খেলাধুলার আরও আয়োজন যুক্ত হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া আগামীতে নাগরদোলার ব্যবস্থার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের, যেখান থেকে এয়ারপোর্টের ভেতরের পরিবেশ সরাসরি দেখা যাবে।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন