ব্যস্ত নগরজীবনে জনপ্রিয় হয়েছে অনলাইন কেনাকাটা। সময় বাঁচাতে ও ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে মানুষের মধ্যে শপিং মল বা দোকানে যাওয়ার প্রবণতা কমছে। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন কেনাকাটা। পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে সবকিছুই এখন ঘরে বসে অর্ডার করলেই মেলে। এক ক্লিকে দ্রুত সময়েই পছন্দের পণ্যটি পাওয়া যাচ্ছে ঘরে।
সময়ের চাহিদা বিবেচনায় ব্যবসায়ে যুক্ত হয়েছে ‘ফুডি’ নামে অনলাইনভিত্তিক ফুড ডেলিভারি সার্ভিস। দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ছাড়ে গ্রাহকের কাছে খাবার পৌঁছানোর প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা করেছে রাইডারভিত্তিক ফুড ডেলিভারির এই সেবা প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে খাবারের মান, পরিমাণ ও ক্রেতা সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। থাকছে কম ডেলিভারি ফিতে নামকরা রেস্তোরাঁর বিশেষ বিশেষ পদের খাবার খাওয়ার সুযোগ। এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে কেক ও ফুল অর্ডার করার সুযোগ দিচ্ছে ফুডি।
বিজ্ঞাপন
শুরুতে পুরো ঢাকা শহরকে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করে ২৪ ঘণ্টা ফুড ডেলিভারি সেবা দিচ্ছে ফুডি। ঢাকা ছাড়াও আশপাশের শহর নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং সাভারেও ফুডির সেবা মিলবে। এর বাইরে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী এবং খুলনায় এই সেবা চালু রয়েছে। অচিরেই অন্যান্য জেলায় পাওয়া যাবে ফুডির পরিষেবা।
গত ৩ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ফুডির কার্যক্রম শুরু হয়। ডেলিভারি সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল কয়েক মাস আগেই। গবেষণার জন্য ক্রেতা-বিক্রেতাদের মতামত নেওয়াসহ জরিপ ও বাজার উন্নয়নে সেবার উৎকর্ষতায় ডেলিভারি সার্ভিস চালুর প্রাক-প্রস্তুতি নেওয়া হয় ভালোভাবেই। এরই ধারবাহিকতায় ফুড ডেলিভারির এই প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফুডির ফুড ডেলিভারি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি রেস্তোরাঁ। খাবারের মান ও জনপ্রিয়তা পর্যালোচনা করে ফুড পার্টনার হিসেবে এসব রেস্তোরাঁ নির্বাচন করেছে রাইডারভিত্তিক ফুড ডেলিভারির এই সেবা প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞাপন
শুধু রেস্তোরাঁর খাবার নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি হোমমেড খাবারও পাওয়া যাবে এই প্ল্যাটফর্মে
এসব খাবার ক্রেতাদের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে একঝাঁক নিবেদিত কর্মী। যে সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়াও সাইকেল, মোটরসাইকেল আছে এমন তরুণরা চাইলে তাদের পার্ট টাইমার হিসেবে ফুডির ডেলিভারি সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগও দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুধু রেস্তোরাঁর খাবার নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি হোমমেড খাবারও পাওয়া যাবে এই প্ল্যাটফর্মে। খাবারের পাশাপাশি প্রিয়জনকে তাজা ফুল ও কেক উপহার দেওয়া যাবে ঘরে বসেই। এছাড়াও অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করে রেস্তোরাঁর চেয়েও কম দামে ডাউন ইন (রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া) সুবিধাও মিলবে। চাইলে কম মূল্যে রেস্টুরেন্ট থেকে টেক অ্যাওয়ে সুবিধাও দিচ্ছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানটি।
এসব সেবার বিষয়ে জানতে চাইলে ফুডির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মাশরুর হাসান মীম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘
সেজন্য খ্যাতনামা রেস্তোরাঁগুলোকে এই সেবায় যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে ক্রেতাদের কম খরচে হোম ডেলিভারি দেওয়া যায়। এজন্য প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।’
মাশরুর হাসান আরও বলেন, ‘অনেকে মনে করেন একটি হোটেল বা রেস্তোরাঁয় বসে খেলে যে পরিমাণ খাবার পরিবেশন করা হয়, অনলাইনে অর্ডার করলে তার চেয়ে পরিমাণ কম পাওয়া যায়। এই ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করতে আমরা আমাদের ফুড পার্টনার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তাদের বিষয়টি অবগত করেছি। ফলে খাবারের মান ও পরিমাণটা সর্বোচ্চ রাখতে আমরা সচেষ্ট আছি।’
ফুডির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ফুডিতে খাবার অর্ডার করা খুবই সহজ। ওয়েবসাইট কিংবা স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে এই কাজটি করা যায়। অ্যানড্রয়েড ও আইফোনের জন্য আলাদা আলাদা
অ্যাপ রয়েছে। এর মাধ্যমে খুব সহজেই একজন ক্রেতা নিবন্ধন করতে পারেন। নিবন্ধন ও লগইন প্রক্রিয়াটাও খুবই সহজ। ক্রেতা তার নাম, ই-মেইল অ্যাড্রেস ও ফোন নম্বরের মাধ্যমে নিবন্ধন করে লগইন করতে পারবেন। এছাড়াও ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট দিয়েও লগইন করা যাবে।’
সেবা চালু পরই ভালো সাড়া মিলছে জানিয়েছে ফুডির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (চিফ অপারেটিং অফিসার) মো. শাহনেওয়াজ মান্নান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ফুডি চালুর এক মাস পার হতে না হতেই অপ্রত্যাশিত সাড়া পাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক গ্রাহক এই প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধিত হয়েছেন। আমরা যেমনটা চিন্তা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি কাস্টমার ফুডিতে যুক্ত হয়েছেন।’
শাহনেওয়াজ মান্নান আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি একটি ফুড ডেলিভারি সার্ভিস সফল হওয়ার পেছনে উৎকৃষ্ট মানের খাবার দ্রুততম সময়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপর নির্ভর করে। এজন্য আমরা একঝাঁক তরুণ ডেলিভারি ম্যান হিসেবে নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের নিজস্ব বেতনভুক্ত দক্ষ ডেলিভারি ম্যান যেমন আছেন, তেমনি আছেন খণ্ডকালীন কাজ করতে উৎসুক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও। এর পাশাপাশি আমরা মেয়েদেরও অগ্রাধিকার দিচ্ছি। যেন তারাও ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে যুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক মেয়ে ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবেও কাজ করছেন। এসব ফুড ভেলিভারি ম্যানদের দক্ষ হিসেবে তৈরি করতে প্রতিষ্ঠানটি কর্মী নির্বাচনের পরপরই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।’
ফুডির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আরও জানান, ‘ফুড ডেলিভারি সার্ভিস চালুর জন্য সবচেয়ে বড় প্রাণশক্তি হচ্ছে ডেলিভারি ম্যান। তারা যদি সময়মতো ফুড ডেলিভারি করেন তাহলে তাদের সেবা মানুষ গ্রহণ করবেই। এক্ষেত্রে ফুডি নতুন ডেলিভারি ম্যান নেওয়ার পর দক্ষ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রশিক্ষক দিয়ে থাকে।’
‘ঢাকা শহরের ফুডির বেশ কয়েকটি হাব আছে। এই রাইডার হাবে একটি করে ট্রেনিং সেন্টার আছে। এমনকি ফুডির তেজগাঁওয়ের প্রধান কার্যালয়েও একটি ট্রেনিং সেন্টার আছে। এসব ট্রেনিং সেন্টারে ফুডির দক্ষ প্রশিক্ষক দিয়ে নতুন রাইডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কীভাবে কাস্টমারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, কীভাবে অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে, কীভাবে রেস্টুরেন্টের সঙ্গে কথা বলতে হবে, এছাড়া ফুড ডেলিভারি সার্ভিসের খুঁটিনাটি সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।’-বলেন শাহনেওয়াজ মান্নান।
ফুড ডেলিভারি সার্ভিস চালুর জন্য সবচেয়ে বড় প্রাণশক্তি হচ্ছে ডেলিভারি ম্যান। তারা যদি সময়মতো ফুড ডেলিভারি করেন তাহলে তাদের সেবা মানুষ গ্রহণ করবেই। এক্ষেত্রে ফুডি নতুন ডেলিভারি ম্যান নেওয়ার পর দক্ষ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রশিক্ষক দিয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে পার্টটাইম জব হিসেবে অনেক শিক্ষার্থীই ফুড ডেলিভারির সঙ্গে যুক্ত। তারা তাদের দৈনন্দিন ক্লাশ, পড়াশোনার পাশাপাশি বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত কাজ করেন। সেক্ষেত্রে তাদের ভালো আয়ের সুযোগ থাকছে ফুডিতে যুক্ত হয়ে। হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে খাবার ক্রেতাদের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ফুডি একটি স্মার্ট ব্যাগ ডিজাইন করেছে। এটি আকারে যেমন ছোট তেমনি এর চমৎকার ডিজাইন। এতে খাবার রাখলে দীর্ঘক্ষণ গরম থাকে।’
শাহনেওয়াজ মান্নান আরও বলেন, ‘ফুডিতে আমরা আপনাকে এটা নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, রেস্টুরেন্ট খাবারের যে দাম সেই একই দাম ফুডিতে অর্ডার করলে পাবেন। এমনকি রেস্টুরেন্টর চেয়েও কম দামে ঘরে বসে খেতে পারবেন। আমরা এও বলছি যে, অন্যান্য ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের তুলনায় কম দামে খাবার অর্ডারের নিশ্চয়তা দিচ্ছে ফুডি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফুড ডেলিভারি পার্টনারদের (হোটেল-রেস্তোরাঁ) সঙ্গে যখন চুক্তি করা হয়েছে তখন ফুডি তাদের কমিশন পার্সেন্টেজ সহনীয় পর্যায়ে রেখেছে। যাতে করে হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকরা ফুডির সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ হন। একইসঙ্গে তারা নিশ্চিত করেছেন ফুডি প্ল্যাটফর্মে যারা ফুড খাবার অর্ডার করবেন তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার সরবরাহ করা হবে। একজন ক্রেতা ফুডি ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করে যদি সন্তুষ্ট না হন তবে তার সন্তুষ্টির জন্য নানা অপশন রাখা হয়েছে। যদি কোনো কারণে বৈরি আবহাওয়ার ফলে কিংবা অন্য কোনো কারণে ক্রেতা আশানুরূপ খাবার না পান তবে সঙ্গে সঙ্গে ফুডির কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ জানাতে পারবেন। যেমন সময়মতো এবং গুণগত মান সম্পন্ন খাবার ক্রেতার কাছে না পৌঁছানোই ইত্যাদি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্টকে জানাবে ফুডির নিবেদিত কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি। এছাড়াও ফুডির পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্পেশাল কুপন উপহার দেওয়া হবে ক্রেতাকে। যে কুপনটি দিয়ে ক্রেতা পরবর্তী অর্ডারে ভালো ডিসকাউন্টে খাবার অর্ডার করতে পারবেন। এমনি ক্রেতার কাছে সঠিক খাবার না পৌঁছালে ওই খাবার পরিবর্তন করে দেওয়ার অপশনও রাখা হয়েছে।’
অনেক সময় ক্রেতারা অভিযোগ করেন হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে খেলে খাবারের যে মূল্য পরিশোধ করতে হয় তার চেয়ে বেশি মূল্যে ওই একই খাবার অনলাইনে অর্ডার করতে হয়। এমন প্রশ্নের জবাবে ফুডির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা বলেন, আমরা এক্ষেত্রে ক্রেতাদের নিশ্চিত করতে চাই তারা রেস্টুরেন্টের প্রকৃত মূল্যে ফুডি থেকে খাবার অর্ডার করতে পারবেন। এমনকি রেস্টুরেন্টের চেয়ে কম দামে ঘরে বসেই খাবার পাবেন। শুধু তাই নয়, অন্যান্য ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মগুলোর তুলনায় আরও কম দামে ঘরে বসে গরম গরম খাবার পাবেন। ফুডি অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে। যেখানে অত্যাধুনিক ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। যেমন একজন ক্রেতা ফুডির মাধ্যমে খাবার অর্ডার করার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপে দেখতে পাবেন কোন রাইডার তার দরজায় খাবার পৌঁছে দেবেন। তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য রাইডারের নাম, ফোন নম্বর এমনকি লাইভ চ্যাট করার অপশনও পাবেন। এছাড়াও একই সঙ্গে কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগও থাকবে। অর্থাৎ প্লেস করার সঙ্গে সঙ্গে লাইভ লোকেশন ট্রাক করার অপশন রয়েছে। খাবার খাওয়ার পর রাইডার এবং যে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করা হয়েছে সে বিষয়ে রিভিউ দেওয়া যাবে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নাম প্রকাশ না করেও রিভিউ দেওয়ার সুযোগ থাকছে। ফুডি শুধুমাত্র ফুড ডেলিভারিই দিচ্ছে না, এই অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে মিলবে কেক ও তাজা ফুল ঘরে বসে পাওয়ার সুযোগ।
প্রিয়জনকে পছন্দের ফুল পৌঁছে দেওয়ার বিষয় নিয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, ‘ধরুন আপনি আপনার বন্ধু কিংবা প্রিয়জনকে তার জন্মদিন কিংবা অন্যান্য উপলক্ষে কেক উপহার দেবেন। সঙ্গে ফুলও। আপনার এজন্য বাইরে যেতে হবে না। ফুডির মাধ্যমে মুখোরোচক খাবার, কেক এমনকি শুভেচ্ছা স্বরূপ তাজা ফুল কিংবা ফুলের তোড়া তার ঠিকানায় ঘরে বসেই পাঠাতে পারবেন। ফুল ডেলিভারির জন্য রেস্টুরেন্টর মতোই ফুডির রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু ফুল ব্যবসায়ী পার্টনার। এসব পার্টনারদের কাছ থেকে সকল ধরনের ফুল, ফুলের তোড়াসহ যাবতীয় সব কিছুই পাবেন। দেশীয় এই কোম্পানিটি পরিকল্পনা করছে অচিরেই ফুড, কেক ও ফুল ডেলিভারির পাশাপাশি গ্রোসারি, ফুডি মার্টের মাধ্যমে ক্রেতার যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঘরে বসেই কেনাকাটা করার সুযোগ দেওয়ার।
ফুডির ওয়েবসাইট, স্মার্টফোন অ্যাপ ও পুরো সিস্টেম ডেভেলপ করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান টেকনো নেক্সট সফটওয়্যার লিমিটেড।
ফুডির ওয়েবসাইট, স্মার্টফোন অ্যাপ ও পুরো সিস্টেম ডেভেলপ করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান টেকনো নেক্সট সফটওয়্যার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ঝুলিতে ইতোমধ্যে এয়ারলাইন্সের টিকিটিং সেবা, অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের ওয়েবসাইট তৈরিসহ বেশ কিছু ওয়েবসাইট ও অ্যাপস তৈরির অভিজ্ঞতা রয়েছে।
টেকনো নেক্সট সফটওয়্যার লিমিটেডের চিফ ডিজিটাল অফিসার মো. হাসিবুল হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, টেকনো নেক্সট ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানি। যা দ্রুতই একটি অগ্রণী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তিকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে উদ্ভাবনী সফটওয়্যার সমাধান তৈরি করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ফুডির ওয়েবসাইট, অ্যাপ ও সিস্টেম ডেভেলপ করেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল অনলাইনে গ্রাহক ও ব্যবহারবান্ধব সেবা নিশ্চিত করা। আমরা সেই কাজটি মনোযোগ দিয়ে করেছি।
হাসিবুল হাসান আরও বলেন, ফুডি ফুড ডেলিভারি পরিষেবা দেশীয় উদ্ভাবন হলেও এই প্ল্যাটফর্ম নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। ক্লাউডভিত্তিক এই সেবায় বিভিন্ন পেমেন্ট পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম ব্যবহৃত হয়েছে, যা সম্পূর্ণ নিরাপদ। একজন ক্রেতা চাইলে ক্যাশ-অন ডেলিভারির পাশাপাশি ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং এবং কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। ব্যবহারকারীদের ব্যাংকিং ও ব্যক্তিগত তথ্য শতভাগ নিরাপদে থাকবে।
এজেড/এমআর