রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

টিপস

গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা কি ঠিক?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২৪, ১১:০৯ এএম

শেয়ার করুন:

tips

গর্ভকাল একজন নারীর জন্য যেমন আনন্দের, পূর্ণতার তেমনি সাবধানে থাকারও সময়। প্রেগনেন্সির প্রথম দিন থেকে হবু মায়েদের নিজেদের প্রতি একটু যত্নবান হতেই হয়। কারণ এখন তার শরীরে একটু একটু করে বেড়ে ওঠে একটা ছোট্ট প্রাণও। এর জন্য গর্ভবতী নারীদের সঠিক ডায়েটে জোর দিতে হবেই। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চাও করে যেতে হবে। তবেই প্রেগনেন্সিতে নানা জটিলতা কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে।

পৃথিবীর সব সুন্দর অভিজ্ঞতার মধ্যে অন্যতম হল মাতৃত্ব। এই সুখবর একরাশ আনন্দ নিয়ে আসলেও ৯ মাস জুড়ে থাকে নানা চ্যালেঞ্জও। এই জার্নিতে নানারকম অস্বস্তির সঙ্গে লড়াই করতে হয় বেশিরভাগ গর্ভবতী নারীকেই। তাই নিজের ও সন্তানের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে গর্ভবতী নারীদের কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলতে হয়।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় এই ৫ ভুল করেন অনেক নারী

এই সময় সুষম ডায়েটে ভরসা তো করতে হয়ই। পাশাপাশি ভারী কাজ করা থেকেও বিরত থাকতে হয়। তবে তাই বলে সারাদিন হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলেও কিন্তু লাভ নেই। বরং শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে জোর দিয়ে অল্প বিস্তর হাত-পা নাড়াতেও হবে। অর্থাৎ নিয়ম করে যোগা-প্রাণায়াম করতে হবে প্রেগনেন্সি পর্ব জুড়ে। তাতেই মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।

bayam

কমবে ব্যথা-বেদনা 


বিজ্ঞাপন


গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রায় ২০ শতাংশ নারীই গর্ভাবস্থায় কোমরে ব্যথায় কষ্ট পান। গর্ভাবস্থার ২০ থেকে ২৮ তম সপ্তাহেই এই ব্যথা শুরু হতে দেখা যায়। এজন্য কোনও জটিলতা না থাকলে, প্রত্যেক গর্ভবতী নারাই রোজ সাঁতার কাটা, ইয়োগা, হাঁটা বা স্ট্রেচিংয়ের মতো শরীরচর্চা নিয়ম করে যাওয়া উচিত। তাতেই পেশির ক্ষমতা বাড়বে এবং প্রেগনেন্সি সম্পর্কিত ব্যথা-বেদনা কম হবে।

মুক্তি মিলবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে

​প্রেগনেন্সিতে স্ত্রী দেহে হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। এর কারণে হজম প্রক্রিয়াও মন্থর হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের জ্বালাও পোহাতে হয় গর্ভবতী নারীদের। গর্ভাবস্থায় যা অনেক বড় অস্বস্তির কারণ। শুধু তাই নয়, সন্তান প্রসবের পর ৩ মাস পর্যন্ত মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে যেতে পারে। তবে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে পাচনক্রিয়া ঠিক হবে। সঙ্গে সঙ্গে রোজ সকালে পেটও পরিষ্কার হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় টক খেতে ইচ্ছে করে কেন?

কমবে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি

গর্ভাবস্থায় হরমোনের তারতম্য এবং খাওয়া-দাওয়ার হেরফের হওয়ার কারণে ডায়াবিটিসের খপ্পড়ে পড়েন অনেক নারীই। যে কারণে মা ও সন্তান থাকতে পারে বিপদসীমায়। গর্ভবতী নারী শিকার হতে পারেন হাইপারটেনশনেরও। এমনকি সঠিক সময়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাগে আনতে না পারলে প্রসবের সময় সন্তানের মস্তিষ্ক, কিডনিসহ নানা অঙ্গের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

তবে প্রেগনেন্সিতে নিয়মিত ইয়োগা-প্রাণায়ম করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চার কারণে ব্লাড প্রেসারও থাকবে স্বাভাবিক। ফলে মা ও সন্তান থাকবে একেবারে সুস্থ সবল।

women

​ফাঁদ পাতবে না ওবেসিটি​

প্রেগনেন্সিতে ওজন বাড়া স্বাভাবিক বিষয়। এই সময় গর্ভবতী নারীদের মোটামুটিভাবে ১৫ থেকে ১৮ কেজি ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক বলেই ধরা হয়। তবে এর বেশি হলেই তা কিন্তু ওবেসিটির পর্যায়ে চলে যায়। যে কারণে প্রেগনেন্সিতেও নানা ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। তবে প্রেগনেন্সিতে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হু হু করে বাড়তে পারে না ওজন। আর চিন্তা থাকে না মা ও সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে।

হার্ট থাকে চাঙ্গা

প্রেগনেন্সির কারণে রক্তনালী ও হার্টের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যে কারণে হৃদরোগেরও ঝুঁকি থেকে যায়। তবে রোজ ইয়োগা-প্রাণায়ম করলে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম ঠিক থাকে। সমগ্র দেহে রক্ত চলাচলও হয় নিয়মিত। তাই ভাবী মায়ের হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও চিন্তা থাকে না।

অতএব, প্রেগনেন্সির জার্নি স্মুদ রাখতে শরীরচর্চার গুরুত্ব তো বুঝলেন। তাই রোজ হালকা ধরনের যোগ ব্যায়াম শুরু করে দিন এখন থেকেই। তবে অবশ্যই এই বিষয়ে আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না যেন।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর