মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ, নিরাপদ থাকতে করণীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ, নিরাপদ থাকতে করণীয়

বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে হুপিং কাশি, চোখের পলকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়ছে অত্যন্ত সংক্রামক এই ভয়াবহ রোগ। চিনের ন্যাশনাল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩২,০০০ টিরও বেশি কেস ধরা পড়েছে, যা গত এক বছরের আগের তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বেশি।

হুপিং কাশি কী?


বিজ্ঞাপন


এই রোগটি পেটুসিস নামেও পরিচিত। অত্যন্ত সংক্রামক এই রোগ শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট এই কাশির রোগে ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হয়। কাশির সময় তীব্র শব্দ হয়। শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের মধ্যে রোগটি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। কখনও কখনও এটি নিউমোনিয়া, খিঁচুনি এবং এমনকি মৃত্যুর মতো জটিলতার দিকেও নিয়ে যায়।

cough2

হুপিং কাশির লক্ষণ কী?

সাধারণত সর্দির উপসর্গ যেমন- নাক দিয়ে পড়া, হালকা কাশি এবং কম তাপমাত্রার জ্বর দিয়ে শুরু হয় হুপিং কাশি। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, কাশির তীব্রতা বাড়ে। অনেকসময় কাশির সঙ্গে বমি বা ক্লান্তিও আসতে পারে।


বিজ্ঞাপন


হুপিং কাশি কীভাবে ছড়ায়? 

একজন সংক্রামিত ব্যক্তি কাশলে বা হাঁচলে, এই অত্যন্ত সংক্রামক রোগ প্যাথোজেন শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাকটেরিয়াটি গলার শ্বাসনালীগুলোর আস্তরণের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে, যা সিলিয়ার ক্ষতি করে। ফলে শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয় না। এতে কষ্ট আরও বেড়ে যায়। শ্বাসনালীগুলো স্ফীত হয়ে যায়, কাশি বাড়ে এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।

cough3

হুপিং কাশি থেকে নিরাপদ থাকার উপায় 

হুপিং কাশি বা পেটুসিস প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়াও উচিত- 

টিকাকরণ

এই রোগের সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হলো টিকা। DTaP ভ্যাকসিন, যা ডিপথেরিয়া, টিটেনাস এবং পেটুসিস থেকে রক্ষা করে- এই টিকা নিয়মিতভাবে দুই মাস বয়স থেকে শুরু করে একাধিক ডোজের মাধ্যমে শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের দেওয়া হয়। 

cough4

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীদেরও এই বুস্টার সুপারিশ করা হয় যেন তারা এবং তাদের নবজাতকদের ক্ষতি না হয়। এটি কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও সুপারিশ করা হয়। তাই পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী বা শিশু-ছোট বাচ্চাদের ঘনিষ্ঠ পরিচিতদের পেটুসিস টিকা নেওয়ার উচিত।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা 

কাশি বা হাঁচির পরে, সাবান আর পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধুতে হবে। এছাড়াও পাত্র বা পানীয়ের কাপের মতো ব্যক্তিগত জিনিসগুলো ভাগ করা এড়িয়ে চলুন।

cough5

নাক-মুখ ঢেকে রাখা

রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন।

অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা

কাশিসহ শ্বাসকষ্টের অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিলে স্কুল, কাজ বা অন্যান্য ভিড়ে না গিয়ে বাড়িতে থাকুন। এতে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে না। 

প্রতিরোধমূলক এসব পদক্ষেপ অনুসরণ করলে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হুপিং কাশির প্রভাব কমাতে পারবেন। উল্লেখ্য, কাশি সংক্রমণের এই গুরুতর রূপ হুপিং কাশি। তাই এই কাশি সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। 

এনএম 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর