ক্রমাগত ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরে। ঘরে ঘরে এখন সর্দি-কাশি। সঙ্গে যোগ দিয়েছে বুকে জমাট বাধা কফ। এমন অসুস্থতায় অনেকেই হুট করে কফ সিরাপ খেয়ে ফেলেন। কিন্তু অবহেলার কারণে এই সর্দি কাশিই মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বুকে কফ জমে শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঘরোয়া কিছু টোটকা কাজে লাগিয়ে এই সর্দি-কাশি মোকাবিলা করা যায়। সেগুলো সম্পর্কে জানুন-
বিজ্ঞাপন
গরম পানি আর লবণ
হালকা গরম পানির সঙ্গে লবণ মেশান। এই পানি দিয়ে গার্গল করুন। এতে বুকে জমা কল বেরিয়ে যাবে। চাইলে এক টুকরো আদা মুখে নিয়ে চাবাতে পারেন। বুকে জমা কফ পরিষ্কার করে আদার রস।
আদা আর মধু
বিজ্ঞাপন
এক কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ আদা কুচি মেশান। ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট জ্বাল দিন। এর মিশ্রণে অল্প পরিমাণ মধু মেশান। দিনে ৩ বার এই মিশ্রণ পান করুন। অল্প দিনেই উপকার পাবেন। দুধ বা মধুর সঙ্গে এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়া আর লবঙ্গের গুঁড়ো মিশিয়ে এই মিশ্রণও খেতে পারেন।
পেঁয়াজ আর লেবু
পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু আর পানি একসঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। কিছুটা গরম হলে নামিয়ে ফেলুন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় এই পানীয় দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। আরাম মিলবে।
গরম পানি আর হলুদ
হলুদে রয়েছে কারকুমিন নামক উপাদান। এটি বুক থেকে জমাট কফ বের করে। বুকের ব্যথা কমায়। হলুদের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গলা ব্যথা কমায়। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে, প্রতিদিন কুলকুচি করুন। উপকার পাবেন।
হলুদ আর দুধ
এক গ্লাস দুধে আধ চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ফোটাতে থাকুন। এর সঙ্গে ২ চা চামচ মধু এবং সামান্য গোল মরিচের গুঁড়ো মেশান। মিশ্রণটা বেশ গাঢ় হবে। দিনে দু থেকে তিনবার এই পানীয় গ্রহণে বুকের কফ দূর হবে।
এনএম