সারাবছর যাই হোক, শীত এলে গুড়ের চাহিদা বেড়ে যায় অনেকখানি। পায়েস কিংবা নানারকম পিঠা তৈরিতে এর বিকল্প নেয়। কেবল স্বাদ নয়, গুড়ের নানা গুণও আছে। এজন্যই চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ সবাই চিনির বদলে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেন।
বিজ্ঞাপন
অনেকে খাবার পরে মিষ্টির তৃষ্ণা মেটাতে গুড় খান। আয়ুর্বেদে গুড়ের বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। এজন্য গুড়কে বলা হয় ‘মেডিসিনাল সুগার’। তাই বলে কি যত খুশি গুড় খাওয়া যাবে? না। পরিমাপ বোধ না থাকলে এই গুড়ই কারো কারো জন্য বিষের সমতুল্য হয়ে উঠতে পারে। চলুন জেনে নিই এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা কী বলে-

বিজ্ঞাপন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মাত্রাতিরিক্ত গুড় খাওয়া খুবই ক্ষতিকারক। ১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ১০-১৫ গ্রাম ফ্রুক্টোজ থাকে। অর্থাৎ ডায়াবেটিসের জন্য বেশি গুড় একেবারেই ঠিক নয়।
আরও পড়ুন- কফির প্রতি আসক্তি কমাতে করণীয়
ডায়েটিশিয়ান সিমরান সাইনি মতে, গুড় খেলেও তা পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। এবং অবশ্যই শীতের মৌসুমেই গুড় খাওয়া ভালো, গরমে নয়।

গুড়ে আছে উচ্চ পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। এজন্যই এই পরামর্শ। তার মতে, এটি অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। গরমে কেন গুড় খাওয়া উচিত নয়? বিশেষজ্ঞের মতে, গ্রীষ্মকালে উষ্ণ পরিবেশে অতিরিক্ত গুড় খেলে বদহজম হতে পারে। এমনকি নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
আরও পড়ুন- অতিরিক্ত হলুদ খেলে শরীরের যে ক্ষতি
গবেষণা অনুযায়ী, গুড়ে থাকা সুক্রোজ প্রদাহ বাড়াতে পারে। এর মধ্যে উপস্থিত চিনির উপাদান শরীরে ফুলে যেতে পারে। যাদের আর্থ্রাইটিসের মতো প্রদাহজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই গুড় এড়িয়ে চলা উচিত।

অতিরিক্ত গুড় খেলে বাড়তে পারে ওজন। প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ৩৮৩ ক্যালোরি থাকে। আর তাতেই স্থূলতাজনিত সমস্যার জন্ম নিতে পারে।
গুড় খেতে চাইলে সীমিত পরিমাণে খান। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু বেশি গুড় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা থাকে।
এনএম

