রান্নার অন্যতম উপকরণ হলুদ। আমিষ হোক বা নিরামিষ— পদ যাই হোক, সঙ্গে হলুদ থাকা চাই। এক চিমটি হলুদ বসলে দিতে পারে রান্নার স্বাদ ও বর্ণ। এর স্বাস্থ্যগুণও কম নয়। হলুদে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল নানা উপাদান। অনেক রোগের ঝুঁকি কমায় এটি।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। এজন্য অনেকেই নিয়ম করে খালিপেটে কাঁচা হলুদ খেয়ে থাকেন। তবে অতিরিক্ত হলুদ খেলে কিন্তু উল্টো শরীরের ক্ষতি হতে পারে। অত্যধিক হলুদ খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে চলুন জানা যাক-
বিজ্ঞাপন

শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়া
রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেকে রোজ কাঁচা হলুদ খান। এতে নিজের অজান্তেই বাড়ছে বিপদ। ব্যস্ত জীবনে শর্করার মাত্রা মেপে হলুদের পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না। হলুদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রক্তে শর্করার মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কমিয়ে দিতে পারে। যা থেকে হঠাৎ বিপদ ঘটতে পারে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- মাছ ভাজার আগে কেন লবণ-হলুদ মাখানো হয়?
কিডনির সমস্যা
কাঁচা হলুদ উপকারি হলেও দীর্ঘদিন এটি খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। অনেকসময় ক্যালশিয়ামের বিপাকক্রিয়া বিঘ্নিত করে হলুদ। এতে প্রয়োজনীয় উপাদান ছেঁকে, বর্জ্য শরীরের বাইরে বের করতে পারে না কিডনি। বহুদিন ধরে জমতে জমতে এই উপাদানগুলোই ক্যালশিয়াম অক্সালেট জাতীয় পাথরে পরিণত হয়।

ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা
অতিরিক্ত হলুদ খেলে ঋতুস্রাবের সময়ে রক্তক্ষরণের মাত্রা বেড়ে যায়। শরীরের পক্ষে যা মোটেও ভালো নয়। তাই সুস্থ থাকতে হলুদ কম খাওয়াই শ্রেয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলুদ শরীরের জন্য একদমই ভালো নয়।
আরও পড়ুন- তরকারিতে হলুদ বেশি হলে করণীয়
পেটের গণ্ডগোল বাড়ায়
দেহে কারকিউমিনের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে পেটের সমস্যা শুরু হতে পারে। যা থেকে পেটের গোলমাল, অম্বল ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলুদ খান। তবে তা পরিমাণমতো।
এনএম

