দেহের বাড়তি ওজন যে কেবল পছন্দের পোশাক পরার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে তেমনটা নয়। নানা শারীরিক জটিলতার কারণ এটি। ওজন কমানোর জন্য অনেক উপায় রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বড় বাধা হলো দেহের মেটাবলিজমের অভাব।
মেটাবলিজম বাড়লে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হয়। দেহের মেটাবলিজম বাড়ানোর বেশ কিছু উপায় রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, কিছু খাবার রয়েছে যা দেহের মেটাবলিজমের হার বাড়াতে সাহায্য করে। চলুন জানা যাক সেগুলো কী-
বিজ্ঞাপন

ভেজানো কাঠবাদাম
সকালের শুরু করুন ভেজানো কাঠবাদাম খেয়ে। আমন্ড বা কাঠবাদামে আছে ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানটি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- পেটের ভুঁড়ি কমাতে সকালে যে কাজগুলো করবেন
বিজ্ঞাপন
তামার পাত্রে পানি
গবেষণা অনুযায়ী তামার পাত্রে রাখা পানি অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া তামার পাত্রে রাখা পানি হজমেও সাহায্য করে।

সকালের নাশতায় প্রচুর প্রোটিন
শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রোটিন। এটি খাদ্যের তাপীয় প্রভাব বা থারমাল এফেক্ট অফ ফুড বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে। দুধ, ডিম, পনির, সয়া, মসুর ডাল ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস। সকালের নাশতায় বেশি পরিমাণ প্রোটিন রাখুন।
আরও পড়ুন- ১৫ দিনে ৫ কেজি ওজন কমানোর উপায়
এক গ্লাস গরম পানি
প্রতি ঘন্টায় এক গ্লাস গরম পানি খেলেও দেহের মেটাবলিজম বাড়ে। ওজন কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে গরম পানি।

দারুচিনি
ওজন কমাতে সাহায্য করে দারুচিনি। গ্রিন টি’র সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। উপকার মিলবে।
আরও পড়ুন- যেভাবে ১০ মাসে ৩১ কেজি ওজন কমিয়েছেন এই নারী
এলাচের চা
দুপুরের খাবার পর খেতে পারেন এক কাপ এলাচ চা। মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এই মশলাটি।

শারীরিক ব্যায়াম
কেবল খাবারের দিকে নজর দিলে হবে না। সারাক্ষণ বসে থাকার কারণেও বাড়ছে ওজন। তাই অল্প সময় হলেও ব্যায়াম করুন। স্ট্রেচিং, জগিং বা সাইকেলিং করতে পারেন।
উপবাস
কিছু না খেয়ে থাকা বা উপবাস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ওজন কমানো থেকে শুরু করে মেটাবলিজম বাড়ানো সবকিছুতেই সাহায্য করে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।
এনএম

