সকালে উঠে ফুরফুরে মেজাজে গিয়েছেন অফিসে। কিন্তু অফিসে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই একরাশ ক্লান্তি এসে জড়ো হলো শরীরে। কিছুতেই কাজে মন বসছে না। সারাক্ষণ চোখে ঘুম ঘুম ভাব লেগে আছে। এমনটা অনেকেরই হয়। কিন্তু কেন হয় তা বুঝতে পারেন না।
চিকিৎসকরা বলছেন এমন ক্লান্তির নেপথ্যে রয়েছে ‘ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম’। ব্যস্ত জীবনে মাঝেমধ্যেই এই সিনড্রোমে ভোগেন অনেকেই। কেন হয় এমনটা?
বিজ্ঞাপন

বিশ্রামের অভাব
একসময় মানুষের মধ্যে ছিল টিভি দেখার নেশা। এখন তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ফোন, কম্পিউটারসহ নানা ধরনের গ্যাজেট। এসবের নেশায় কমছে ঘুমের সময়। ফলে পরিমিত বিশ্রাম পাচ্ছে না শরীর। আর বিশ্রামের অভাবে বাড়ছে ক্লান্তিও।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- সারাক্ষণ ক্লান্তি অনুভব যেসব রোগের লক্ষ
মানসিক স্বাস্থ্য
ক্লান্তি বিষয়টি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নির্ভর করে। টানা মানসিক চাপে থাকলে তার প্রভাব পড়ে পেশিতেও। মাথাব্যথা, পেটের সমস্যাও লেগে থাকে। সবমিলিয়ে থেকে যায় ক্লান্তি।

দীর্ঘদিন একই কাজ
অনেকসময় দীর্ঘদিন একই কাজ করলে সেই কাজে অনীহা চলে আসে। এক অফিসে একটানা একই রকম কাজ করলে সেই কাজে মন বসে না। তখন কাজ করতে গেলে ক্লান্তি আসে শরীরে।
আরও পড়ুন- অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত, কী খাবেন?
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি
রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলে তার ইঙ্গিত দেয় শরীর। ডায়াবেটিসের একটি গুরুতর উপসর্গ ক্লান্তি।

বাড়তি ওজন
দেহের ওজন যত বেশি হবে, যেকোনো কাজেই তত বেশি খাটনি হবে। ফলে অনেক বেশি শক্তি ক্ষয় হবে। স্থূলতার কারণেও ক্লান্তি দেখা দেয়। এই ক্লান্তি সহজে কাটতে চায় না।
আরও পড়ুন- চোখও ক্লান্ত হয়
অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে সাময়িকভাবে ক্লান্তি লাগতে পারে। তবে কারো যদি সারাক্ষণই ক্লান্তি লাগে তবে সচেতন হওয়া জরুরি।
এনএম

