অনেকেরই শেষ পাতে টক দই খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। স্বাস্থ্যের জন্য এটি বেশ উপকারি। আর তাই ফ্রিজে সারাবছরই টক দই থাকে। এর গুণের শেষ নেই। তবে বেশি পরিমাণ টক দই নিয়ে অনেকে চিন্তায় থাকেন কী করবেন তা নিয়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী করতে পারেন বাড়তি টক দই দিয়ে-
স্মুদি
বিজ্ঞাপন
শরৎ শেষ হয়ে আসলে গ্রীষ্মের অস্বস্তি এখনও আছে। তাই শরীর ঠান্ডা রাখতে খেতে পারেন স্মুদি। টক দই দিয়ে এটি বানিয়ে নিন। কীভাবে তৈরি থাকবেন? ঘরে ফল থাকলে টুকরো করে কেটে নিন। এবার দই আর ফল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করলেই স্মুদি তৈরি। ওপর থেকে বরফকুচি ছড়িয়ে পান করুন।

ম্যারিনেশন
মাংস রান্নার ক্ষেত্রে ম্যারিনেশন গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। কেননা মাংসের স্বাদ কেমন হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে এই কাজটির ওপর। ম্যারিনেশনের অপরিহার্য উপাদান টক দই। ফ্রিজে মাংস থাকলে বেঁচে যাওয়া টক দই দিয়ে ম্যারিনেশন করে রাঁধুন। স্বাদ বাড়বে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- টক দই কেন খাবেন?
সালাদ
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা সালাদ খেতে ভালোবাসেন। এই সালাদ সুস্বাদু করতে ভরসা রাখুন টক দইয়ে। লেবুর রস, রসুন কুচি, নানা ধরনের মসলা আর টক দই মিশিয়ে সালাদ বানালে খেতে খুব মজা হয়। স্বাস্থ্যের জন্যও এটি উপকারি বটে।

ফেস মাস্ক
বেঁচে যাওয়া টক দই ব্যবহার করতে পারেন রুপচর্চার কাজে। বানিয়ে ফেলতে পারেন ফেস মাস্ক। টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চিমটি হলুদ, বেসন আর অ্যালোভেরা। এর প্যাক ব্যবহার ত্বকের পোড়াভাব দূর হবে। ত্বক হবে উজ্জ্বল আর মসৃণ।
আরও পড়ুন- মাত্র ১০ মিনিটে বানান টক দই
টক দইয়ের পুষ্টিগুণ
এতে আছে বিভিন্ন উপকারী ব্যাকটেরিয়া যারা দেহের উপকার করে। প্রোবায়োটিকের উৎস এটি। এছাড়াও টক দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-৬, ভিটামিন-বি১২, ইত্যাদির মতো উপকারি উপাদান।

টক দই খেলে কী হয়?
ভাবছেন হয়ত কেন টক দই খাবেন? নিয়মিত টক দই খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যারা দুধ খেলে সমস্যার সম্মুখীন হন তাদের এটি একটি দারুণ সমাধান। কেননা এটি দুধের অভাব পূরণ করে এবং সহজে হজমও হয়।
আরও পড়ুন- ত্বক ও চুলের যত্নে টক দইয়ের ব্যবহার
টক দই এর উপকারিতা
দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি খাবার টক দই। এটি খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
এনএম

