বাঁধ বানানোর খরচ ধরা হয়েছে ৪ কোটি মার্কিন ডলার। অথচ এর বিজ্ঞাপনেই খরচ হয়েছে ৬ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। রিপোর্ট প্রকাশ হতেই এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনা পাকিস্তানের। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শাহবাজ শরিফ সরকার। প্রসঙ্গত, এখনও শেষ হয়নি ওই বাঁধ তৈরির কাজ। এই আবহে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় প্রকল্পের কাজ ‘বিশ বাঁও জলে’ যেতে পারে বলেও মনে করছেন পাক প্রশাসনের একাংশে।
বিজ্ঞাপন
তবে সরকারিভাবে এখনো এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। খবর এনডিটিভির
গত কয়েক বছর ধরেই সিন্ধু নদের উপর ‘দাইমার-বাসা’ বাঁধ নির্মাণ করছে পাকিস্তান সরকার। কিন্তু সম্প্রতি দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্য়া দুর্গত হওয়ায় বাধ্য হয়ে ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রেখেছে ইসলামাবাদ। এর মধ্যেই এখনও পর্যন্ত হওয়া প্রকল্পের খরচ জানিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে পাক সংসদীয় কমিটি।
ইসলামাবাদের সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, সেই রিপোর্টেই রয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, সেখানেই প্রকল্পের খরচের চেয়ে বিজ্ঞাপণের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয়ের উল্লেখ রয়েছে।
কতটা বেশি টাকা বিজ্ঞাপণের জন্য খরচ করা হয়েছে? পাক প্রশাসন সূত্রে খবর, এই বাঁধ তৈরির জন্য প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ৪ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী বিজ্ঞাপণের জন্য খরচ হয়েছে ৬ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ প্রকল্পের খরচের চেয়েও অতিরিক্ত ২ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ব্যয় করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
২০১৮ সালে এই বাঁধ নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান পাক বিচারপতি সাকিব নিসার। এই প্রকল্পের জন্য অর্থ দেন একাধিক সাবেক ক্রিকেটারসহ বহু মানুষ। ঠিক হয় সিন্ধু নদের উপর ২৭২ মিটার উঁচু বাঁধ তৈরি করা হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এখান থেকে সাড়ে ৪ হাজার মেগা ওয়াটের বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলেও দাবি করেছিলেন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা।
এই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে তলব করেছে পাক সংসদীয় কমিটি। এছাড়াও প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত একাধিক পদস্থ কর্তাদেরও ইসলামাবাদে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
একে