ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপদেশ ডোমিনিকান রিপাবলিকে নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
ধ্বংসাবশেষের নিচে এখনও নিখোঁজদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নাইট ক্লাবের ছাদ ধসের ঘটনায় বুধবার গভীর রাতে প্রাণহানির এই হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্সের।
বিজ্ঞাপন
দেশটির রাজধানী সান্তো ডোমিঙ্গোতে মঙ্গলবার জেট সেট নামে নাইট ক্লাবের ছাদ ধসের এই ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনার দুদিন পরও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা ধ্বংসস্তূপের কাছে অবস্থান করছেন।

নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজ চেয়ে পুলিশের কাছে তাদের ছবি ও তথ্য সরবরাহ করছেন তারা। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির জরুরি সেবা কেন্দ্রের প্রধান জুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ বলেছেন, আমরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া প্রত্যেককেই খুঁজে বের করবো।
আরও পড়ুন: ইরানের ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি
শেষ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখবেন। তবে নাইট ক্লাবের ছাদের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ের মধ্যে কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন মেন্ডেজ।
দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র হোমেরো ফিগুয়েরো এক বিবৃতিতে বলেছেন, আগামী কয়েক ঘণ্টায় তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান মৃতদেহ উদ্ধারের পর্যায়ে প্রবেশ করবে।
নিখোঁজদের পরিবার এখনও স্বজনদের জীবিত উদ্ধারের আশা করছে। তাদের একজন অ্যালেক্স ডি লিওন। নাইটক্লাবের আশপাশের তিনি তার সাবেক স্ত্রী, তার দুই সন্তানের মা এবং ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে খুঁজছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে মন্ত্রীর নাতনিকে গুলি করে হত্যা
অ্যালেক্স ডি লিওন, দুর্ভাগ্যজনক হলো তাদের বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। আমার ১৫ বছর বয়সী ছেলেও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। আমার ৯ বছর বয়সী ছোট ছেলেকে তার মা কাজে আছেন বলে শান্ত রেখেছি।
এর আগে দেশটির কর্তৃপক্ষ নাইট ক্লাবে ছাদ ধসের ঘটনায় অন্তত ১৫৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানায়। পরবর্তীতে প্রাণহানির এই সংখ্যা বেড়ে ১৮৪ জনে পৌঁছায়।
তবে ধসে যাওয়া নাইট ক্লাবের ধ্বংসস্তূপের নিচে ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও তথ্য নেই।
-এমএমএস

