ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা করা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের এক কোটি রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এয়ারলাইন্সটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান টাটা গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন এ ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
টাটা সন্সের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১ দুর্ঘটনার জেরে আমরা শোকাহত। এই সময় কোনো শব্দই যথেষ্ট নয় এই দুঃখকে প্রকাশ করার জন্য। এ দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে রয়েছি। আহতদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে রয়েছি।’
বিবৃতিতে এ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ১ কোটি রুপি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেয় টাটা গ্রুপ। একইসঙ্গে বিজে মেডিকেলের হোস্টেল (যে ছাত্রাবাসের ওপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়) পুনর্নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারতের অন্যতম বৃহৎ এই শিল্পগোষ্ঠী।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে বিমানটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই এটি আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের লোকজন দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন

এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটিতে ২৩২ জন সাধারণ যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডিয়ান ও সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক।
ইতোমধ্যে দুই শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। তবে এখন পর্যন্ত কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা সরকারিভাবে প্রকাশ করেনি প্রশাসন।
অন্যদিকে, বিমানটি যে মেডিকেল ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখানকার ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভারতের চিকিৎসকদের সংগঠন ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (ফাইমা) জানিয়েছে, দুর্ঘটনা পর থেকে ৫ শিক্ষার্থী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া, অন্তত দুইজনকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাঁচজন মেডিকেল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন স্নাতক এবং একজন স্নাতকোত্তর স্তরের আবাসিক শিক্ষার্থী।
এমএইচআর/এমএইচটি

