ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২৪২ যাত্রীসহ লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার কিছু সময় পরই বিধ্বস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। এতে পাইলট হিসেবে ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল, যিনি একজন এলটিসি ছিলেন। তার ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এ বিমান দুর্ঘটনার আগে বিধ্বস্ত বিমানটির পাইলট বিপৎসংকেত পাঠিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
আহমেদাবাদ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) জানিয়েছে, বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে স্থানীয় সময় একটা ৩৯ মিনিটে আকাশে ওড়ে।
বিবিসি জানায়, বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল বিমান থেকে বিপদ বার্তা দিয়েছিলেন, কিন্তু তারপরে এটিসির ডাকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বিমানটির পাইলটদের তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল একজন এলটিসি ছিলেন। তার ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। কো-পাইলটের ১১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল।
বিজ্ঞাপন
এলটিসির অর্থ হলো লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন, অর্থাৎ তিনি অন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতেন।
এদিকে, ভারতীয় এয়ারলাইন্স এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে যাত্রীদের মধ্যে কোন কোন দেশের নাগরিক ছিলেন, সেই তথ্য প্রকাশ করেছে।
এর আগে, দিল্লি সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং আবাসিক এলাকার কাছে বিধ্বস্ত হয়। এরপরই আগুন ধরে যায় পুরো উড়োজাহাজে। চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার ওই ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করছিল। এতে প্রায় ২৪২ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের লোকজন দ্রুত উদ্ধার কাজে অংশ নেন।
এখনো পর্যন্ত ঠিক কতজন নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছেন সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে যাত্রী সংখ্যা এবং দুর্ঘটনার ভয়াবহতা বিচার করে গুরুতর হতাহতের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রাথমিকভাবে ২০০ জনের বেশি যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এমএইচটি