ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের জন্য কেবল পরাজয়ই অপেক্ষা করছে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া এ মন্তব্য করেছেন।
ফিলিস্তিনের এ নেতা বলেছেন, ‘জায়নবাদী (ইসরায়েলি) শত্রুদেরকে ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে পুরোপুরি বিতাড়ন করা হবে। তাদের জন্য পরাজয় ছাড়া আর কিছুই অপেক্ষা করছে না।’
বিজ্ঞাপন
ইসমাইল হানিয়া আরও বলেন, 'ফিলিস্তিনি জাতি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় উগ্রবাদী বাহিনী অর্থাৎ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই লড়াই সম্মান ও মর্যাদার লড়াই। আল্লাহর রহমতে আমরাই বিজয়ী হবো।'
হামাসের এ নেতা বলেন, ইসরায়েলিরা গাজার হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধেও যুদ্ধে নেমেছে। তাদের এই পদক্ষেপ সকল আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি ও আইনের পরিপন্থী। গাজায় ইসরায়েলিরা যা করছে তা গোটা বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। গোটা বিশ্ব এখন জেগে উঠেছে। ইসরায়েলের সব পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে বলে জানান এই নেতা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক অবস্থানে হিজবুল্লাহর হামলা
গাজার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া আরও বলেন, উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলি বন্দীরা মুক্তি পাবে না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ ইশতেহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের ইশতেহারে গাজায় ইসরায়েলি অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানানো উচিৎ ছিল।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দিতে ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ এবং সব ক্রসিং পয়েন্টগুলো খুলে দিতে বাধ্য করতে হবে। তিনি বলেন, গত ৪১ দিনের যুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছে। তারা ফিলিস্তিনিদেরকে গাজা থেকে তাড়ানো এবং ইসরায়েলি বন্দীদেরকে শক্তির জোরে মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল, কিন্তু এর কোনোটিই সফল হয়নি।
জায়নবাদীরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গৃহীত সব পদক্ষেপকে উড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানান ইসমাইল হানিয়া। তিনি আরও বলেন, আমাদের দখলদার শত্রুরা নিজেদেরকে সব আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করে। এ কারণে তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ইশতেহার প্রত্যাখ্যান করেছে। হানিয়া বলেন, গোটা বিশ্বের জানা উচিৎ কেবল গাজার জনগণ তথা ফিলিস্তিনি জাতিই গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার রাখে।
আরও পড়ুন: ইরান-ফিলিস্তিন সম্পর্ক নিয়ে রয়টার্সের নেতিবাচক খবর, ইরান যা বলছে
তিনি গোটা মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে বলেন, 'সবাইকে বলছি গাজাবাসী ইসলামের ইতিহাসে এমন এক গৌরব রচনা করেছে যা গত এক শ' বছরে নজিরবিহীন। এই যে লড়াই চলছে এটা গোটা মুসলিম উম্মাহর লড়াই। সব মুসলমানের উচিৎ অর্থ, অস্ত্র ও জিহাদের মাধ্যমে গাজার মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করা।
বৃহস্পতিবার হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতবিরোধী মুইজ্জুর শপথ
একটি রেকর্ড করা বক্তৃতায় ইসমাইল হানিয়াহ ফিলিস্তিনি জনগণের স্থিতিস্থাপকতা এবং প্রতিরোধ দলগুলোর সমন্বয়ের প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সক্ষমতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এবং তাদের একাধিক ফ্রন্টে দুর্বল করতে লড়াই করছে।
হামাসের এ নেতা বলেন, যদি শত্রুরা একটি দীর্ঘ যুদ্ধ করতে চায় - সে ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সক্ষমতা আরও বেশি। এ সংঘাতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীই জয়ী হবে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, প্রেস টিভি
এমইউ