স্বাস্থ্য সহকারী-পরিদর্শকদের ১১তম গ্রেড পদায়নের দাবি

তারা টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক সাপেক্ষে ১৩তম গ্রেড এবং চার বছর মেয়াদী ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা ট্রেইনিং সাপেক্ষে ১১তম গ্রেড প্রদান করার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. আখিল উদ্দিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এক লাখ বিশ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) মাধ্যমে শিশু ও মহিলাদের টিকা প্রদান কাজে নিয়োজিত। ১০টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের টিকা আমাদের মাধ্যমে দেওয়া হয়। ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন প্রোগ্রামে ভিটামিন এ খাওয়ানো, কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান ও কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করি। মাঠ পর্যায়ে কোভিড-১৯ এর টিকাদান ও মহিলাদের জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধের টিকা আমরাই প্রদান করি।

আখিল উদ্দিন বলেন, আমাদের টিকাদান কার্যক্রমের সফলতার ফলে বাংলাদেশ সরকার অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক পুরস্কার এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, ধনুষ্টংকার নির্মূল সনদ, পোলিও নির্মূল সনদ এবং সর্বশেষ গ্যাভী কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার প্রদানসহ আরও অন্যান্য পুরস্কার প্রদান করেন।

নিজেদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে আমাদের সমগ্রেডে চাকরিরতদের সময়ের পরিক্রমায় বেতন সুযোগ সুবিধা গ্রেড বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসলেও মানব শিশু স্বাস্থ্য ও মাতৃ স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার পরও তৃণমূলের স্বাস্থ্য সহকারীদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমান ১৩ তম গ্রেড এবং ৪ বছর মেয়াদী ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা ট্রেনিং সাপেক্ষে টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ ১১তম গ্রেড প্রদান করতে হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্য সহকারীদের এমআইএস'র মাধ্যমে নীড় পাতায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

তিনি জানান, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন এবং ২০২০ সালের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সিনিয়র স্বাস্থ্য সচিবের সঞ্চালনায় ডিজি ও অন্যান্য কর্মকর্তা এবং আমাদের নেতাদের উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভায় তাদের দাবি মেনে নিয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে যে সমঝোতা হয়। কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওই রেজুলেশনটি বাস্তবায়ন করবে আশা করে আলোচকরা বলেন, আমরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমাদের দাবি আদায় না হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইপিআই সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম বর্জনসহ অন্যান্য সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবো।

এমএইচ/জেবি