গত ৬ জুলাই মুক্তি পেয়েছে বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংয়ের আসন্ন ছবি ‘ধুরন্ধর’-এর ফাস্ট লুক। যা দেখে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। ফাস্ট লুকে অচেনা রূপে ধরা দিয়েছেন অভিনেতা। উস্কোখুস্কো চুল, রক্তাক্ত মুখ প্রতিটি দৃশ্যে নজর কেড়েছেন রণবীর।
ফাস্ট লুক প্রকাশের পর অনুরাগীরা মন্তব্যে করেছেন ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার জন্য নিজেকে উজার করে দিয়েছেন অভিনেতা। এবার অভিনেতার অনুরাগীদের সুরে কথা বললেন ছবির শিল্প নির্দেশক সাইনি জোহরভ। তিনি বলেন, ‘রবণীর সিং শুটিংয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তারপরও শুটিং বন্ধ করেননি। একটানা ৬০ দিন শুটিং করেছেন।’

সম্প্রতি পহেলগাম হত্যা কাণ্ডের পর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই আদিত্য ধর পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’ ছবিতে দেখা যাবে পাকিস্তানের কিছু অংশ। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভাব হয়েছে? এখানেই নিজের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন শিল্প নির্দেশক সাইনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, পরিচালক হিসাবে আদিত্য খুঁতখুঁতে স্বভাবের। কাজের সঙ্গে কোনো আপোস করতে চান না তিনি। পরিচালকের নির্দেশ ছিল ভারত কিংবা যেকোনো দেশে পাকিস্তানের অলিগলি ও রাস্তার মতো নিখুঁত সেট তৈরি করতে হবে। পরিচালকের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলেন শিল্প নির্দেশক সাইনি।

তিনি আরও জানিয়েছেন, ছবির সেট নির্মাণের জন্য তিনি ইউটিউব থেকে পাকিস্তানের অলিগলির ভিডিও সংগ্রহ করেন। পুরনো কিছু সংবাদপত্রও সংগ্রহ করেন। যেখান থেকে পাকিস্তানের রাস্তাঘাটের বর্ণনা পান। এ দিকে বর্ষাকালে মুম্বাই শহরের অধিকাংশ স্থান পানির নিচে থাকে। ভারী বর্ষণে যখন তখন শুটিং বন্ধ হতে পারে। তাই থাইল্যান্ডে ‘ধুরন্ধর’ছবির সেট তৈরির সিদ্ধান্ত নেন সাইনি। পরিচালকও তাতে রাজি।
জানা গেছে, থাইল্যান্ডে ৬ একর জমির ওপরে এক টুকরো পাকিস্তান গড়ে তোলেন সাইনি। ১৫ জন শ্রমিক নিয়ে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা কাজ করে এ সেট বানানো হয়েছিল। ক্যামেরার যাদুতে শুটিং সেট জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ফাস্ট লুক দেখে সিনেমার কোনো দৃশ্য নকল বলে মনে হয়নি!

‘উরি’-খ্যাত পরিচালক আদিত্য ধর নির্মাণ করছেন ‘ধুরন্ধর’। সিনেমাটি মুক্তি পাবে চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর। এ ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত, অক্ষয় খান্না, আর. মাধবন এবং অর্জুন রামপাল প্রমুখ।
ইএইচ/

