শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

ছোটবেলায় নাগরদোলায় উঠতে ভয় পেতাম: নিদ্রা নেহা 

রাফিউজ্জামান রাফি
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন আজ। নতুন বছরের সূচনা, পহেলা বৈশাখ। দেশজুড়ে সাজ সাজ রব, উৎসবের আমেজ। রাজধানী শহরে বর্ষবরণের অনেক আয়োজন রয়েছে আজ। চারুকলা থেকে শোভাযাত্রা ও আনন্দ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা মনে করছেন বৈশাখ তার সৌন্দর্য হারিয়েছে। 

ঢাকা মেইলকে অভিনেত্রী বলেন, ‘বৈশাখের উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর অনেক কিছু স্পেশাল থাকে, যেহেতু আমি চারুকলার। তো সে হিসেবে আমাদের অনেক কাজ থাকে। সবাই মিলে আনন্দ করা, গান-বাজনা করা এভাবেই আমাদের দিন কেটে যায়। কিন্তু দিনের পর দিন যা হচ্ছে তা আমার কাছে বাজে মনে হয়েছে।’

Nidra_dey_Neha_2

বৈশাখের দিনটা কিভাবে কাটাবেন এমন প্রশ্নের জবার তিনি বলেন, ‘এবার যেহেতু অন্যরকম বৈশাখ হচ্ছে, আমি নিজেও একটু ঠিক নেই, তাই ভাবছি পরিবারকে সময় দেব। এবার খাগড়াছড়িতে বিজু উৎসবে যাচ্ছি। ওদের সংস্কৃতি দেখব, পাশাপাশি পাহাড়ে পরিবার নিয়ে ঘুরব। পাহাড়ের সাথে কথা বলা যায়। যখন পাহাড়ে থাকি খুব শান্তি লাগে।’

অস্ট্রেলিয়ায় অপমানিত নেহা, সত্য প্রকাশের ইঙ্গিত


বিজ্ঞাপন


নেহার একরত্তি বয়সের পয়লা বৈশাখের সঙ্গে মিশে আছে মেলা। এরকম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছোট বেলায় নাগরদোলায় উঠতাম না। ভয় পেতাম। বাবা বলেছিলেন একবার নাকি আমাকে অনেক কষ্টে নামানো হয়েছিল। তবে আমাদের বৈশাখ তখন খুব ভালো যেত। মামার বাড়িতে মাসি, মামা-মামিসহ সব বাচ্চাকাচ্চা ভাই-বোন মিলে মেলায় যাওয়া হতো।’

Nidra_dey_Neha_1

স্ট্যাটাস নিয়ে মুখ খুললেন নেহা, আনলেন অপেশাদারিত্বের অভিযোগ

তিনি যোগ করেন, ‘পৌষপার্বণে আমাদের কিছু ব্যাপার থাকে। চৈত্র সংক্রান্তিতে ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে হলুদ দেওয়া, বড়দের প্রণাম করা, এক ডুবে পুকুরের মাঝে গিয়ে স্নান করা। এছাড়া বাড়ির চারদিকে খই ছিটিয়ে শত্রু তাড়ানোর ব্যাপারও থাকে। আবার ফুল তুলে মালা সাজিয়ে ঘর সাজানো। সবাইকে প্রণাম করলে প্রণামী পেতাম। রাতে বিভিন্ন দল আসত। তাদের শিব গৌরী বলা হতো। বিভিন্ন রকম গান বাজনা করত।’ 

Nidra_dey_Neha_4

শাকিব খানের সঙ্গে কাজের স্বপ্ন ছিল: নিদ্রা নেহা

সবশেষ নেহা বলেন, ‘আমি ছোট বেলায় নাচ করতাম থিয়েটারে। নাম ছিল শ্রাবণী থিয়েটার। ওখানে স্টেডিয়াম মাঠে আমাদের বিশাল করে বৈশাখী মেলা হতো। ঢাকা থেকে গায়ক-গায়িকা আসত। নাচের অনুষ্ঠানের জন্য এক মাস ধরে রিহার্সাল করতাম। স্কুল শেষ করে রাত পর্যন্ত চলত। সন্ধ্যায় যখন হাজার হাজার দর্শকের সামনে নাচতাম ওটা অন্যরকম আনন্দের ছিল। বৈশাখের ওই আনন্দটা এখন নেই।’

আরআর/

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর