শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

কালোটাকা সাদার সুযোগ দিয়ে করদাতাদের তিরস্কার করা হচ্ছে: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

কালোটাকা সাদার সুযোগ দিয়ে নিয়মিত করদাতাদের তিরস্কার করা হচ্ছে: সিপিডি
ছবি: সংগৃহীত

এবারের বাজেটেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে সরকার। এটার সমালোচনা করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, এর দ্বারা কালোটাকার মালিকদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে অপরদিকে যারা নিয়মিত কর আদায় করেন তাদের তিরস্কার করা হচ্ছে।

শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।


বিজ্ঞাপন


সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আয়করের সর্বোচ্চ হার যেখানে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হলো, সেখানে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা নৈতিক ও অর্থনৈতিক—কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা নিয়মিত কর দেন, এর মধ্য দিয়ে তাদের তিরস্কৃত করা হচ্ছে।’

বাজেট কোন সময় দেওয়া হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একদিকে চলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সেই সঙ্গে রিজার্ভ–সংকট আছে—এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু এসব সংকট সমাধানে বাজেটে বিশেষ কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।’

ফাহমিদা বলেন, ‘অর্থনীতিতে এখন যেসব সমস্যা আছে, প্রথমত সেগুলো মেনে নিয়ে তার গভীরতা বুঝতে হবে। এরপর সমাধানের দিকে যেতে হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তেমন কোনো ঘোষণা দেখা গেল না।’

আরও পড়ুন

এক নজরে নতুন বাজেটের ৮টি দিক

বাজেটে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট ছাড় ঘিরে অনিশ্চয়তা

এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা, মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করে সিপিডি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার। কিন্তু বাজেটে কর ও ঋণ খেলাপিসহ দুষ্টুচক্রকে মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের টাকা অর্থনীতিতে আনার প্রচেষ্টায় কর হার কমানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘একটা চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাজেটটি হলো। আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই বাজেট অনেক উদ্ভাবনী হবে। এখানে সৃজনশীল ও কিছু সাহসী পদক্ষেপ থাকবে। কারণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো ধরনের সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না। নতুন বাজেট আমাদের কাছে অতীতের বাজেটের মতোই মনে হয়েছে। বর্তমান সময়ের সমস্যা, ক্রান্তিকালীন সংকট দেখা দিয়েছে অর্থনীতিতে, সেগুলো সমাধানে এই বাজেট যথোপযুক্ত পদক্ষেপ বা দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর