বাগেরহাটের চিতলমারীতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে র্যাব ৬ এর মিডিয়া সেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার হলেন— চিতলমারী উপজেলার নালুয়ার গোড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে সবুজ মুন্সি (৩০), দ্বীন ইসলাম ওরফে আকাশ মুন্সি (২৬) ও ছত্তার ওরফে ডাবলু মুন্সি(৫৫)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৬ জানায়, খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর জেলার কোতয়ালি থানার সাখারিগাতী এলাকা থেকে সোমবার (৮ মে) বিকেলে এ হত্যা মামলার পলাতক প্রধান তিন আসামিকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানা এলাকার মাদরাসা পড়ুয়া এক কিশোরীকে স্থানীয় বখাটে দ্বীন ইসলাম মুন্সি প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ২৫ এপ্রিল ওই কিশোরী দর্জি বাড়ি থেকে বোরকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে দ্বীন ইসলাম তাকে বিভিন্ন ধরণের কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে। বখাটে দ্বীন ইসলামের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে চড় থাপ্পর মারে। এ ঘটনায় কিশোরীর চাচাতো ভাই জব্বার শেখ (৩৫) বখাটে দ্বীন ইসলামের বাড়িতে গিয়ে এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করলে আসামিরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এরপর গত ০৫ মে রাতে ভিকটিম জব্বার শেখ ও তার শ্যালক রাজিব শেখ চিতলমারী থানাধীন কলিগাতী বাজার থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় পথিমধ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকে দ্বীন ইসলাম, তার ভাই দেলোয়ার ও বাবা ডাবলু মুন্সিসহ তাদের সহযোগীরা। ঘটনাস্থলে আসলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জব্বার শেখ ও রাজিব শেখকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায় আসামিরা। স্থানীয়রা গুরুতর জখম জব্বার শেখ ও রাজিব শেখকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জব্বার শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর ভিকটিম রাজিবকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উত্তেজিত জনতা আসামিদের চার ঘরে আগুন দেয়।
গ্রেফতার আসামিদের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানায় হস্তান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানায় র্যাব ৬ এর মিডিয়া সেল।
বিজ্ঞাপন
টিবি