সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন আদিবাসী কৃষক-কৃষাণী। কিন্তু উৎপাদন ব্যয় নিয়ে তারা উদ্ধিগ্ন রয়েছেন। গত বছরের মত এবারো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এমটাই আশা করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস বাতায়ন সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৯ হাজার ৩শ ৭০ হেক্টোর বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ছিল ১৯ হাজার ১শ ৬৫ হেক্টোর জমি। এ বছরে তার চেয়ে বেশি। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে ইতিমধ্যে বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। অনেকেই আবার গত কিছু দিন আগে হতেও ধানের চারা রোপন করতে শুরু করেছেন। কেউ আবার জমি নিড়ানির কাজও করছেন। আবাদ ব্যয় বহুল হলেও কৃষকরা অত্যান্ত গুরুত্বের সাথে বোরো ধানের চাষাবাদ করে আসছে। হিমেল হাওয়া ও শীতকে উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে তারা এ কাজ করছেন। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি আদাবাসী নারী শ্রমিকরাও শতস্ফুর্ত ভাবে।
উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের তেলিজানা গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম শীতকে অপেক্ষা করেই ধান রোপন করতে দেখা গেছে। তিনি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে ধান রোপনের কাজ শেষ করেছেন। এছাড়াও ধামাইনগর ইউনিয়নের সাতারা এলাকায় দেখাগেছে আদিবাসী নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা কৃষি জমিতে নিড়ানির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শ্রমের মূল্য বেশ ভালোই। তাই তারা ফুড়ফুড়ে মেজাজেই কাজ করে চলেছেন। জমি তৈরি থেকে শুরু করে তারা চারা উঠানোর কাজও নারী আদিবাসী শ্রমিকগণ ব্যাপক ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
উপজেলা বিভিন্ন এলাকার কৃষক জয়নাল মণ্ডল, হায়দার সেখ, জহুরুল ইসলাম জানান, বিগত বছরের মত এবারো বোরো ধানের ভরা মৌসুমে সার ও সেচ কাজের জন সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে বোরোতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সার, তেল এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত কৃষক। তারা আরও বলেন উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে সে তুলনায় ধানের ন্যায্যমূল্য পাব কি না সন্দেহ আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রউফ জানান, বিগত বছরে এ উপজেলায় বোরা, আউস ও আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। এবারও সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধানের বাম্পার ফলন হবে ইনশাল্লাহ।#
প্রতিনিধি/ এজে