সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

পাবনায় বিয়ে বাড়িতে যুবলীগের হামলার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের জগতলার একটি বিয়ে বাড়িতে স্থানীয় যুবলীগের দুই নেতার নেতৃত্বে দফায় দফায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ও মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের।


বিজ্ঞাপন


অভিযুক্ত যুবলীগের দুই নেতা হলেন, মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি জগতলা গ্রামের মৃত নূরুজ্জামানের ছেলে আমির হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জগতলা গ্রামের নুর সালামের ছেলে রবিউল ইসলাম।

এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ে বাড়ি ও এর আশপাশে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। পুলিশ প্রহরায় অনুষ্ঠিত হয় বিয়ের কার্যক্রম।

জগতলা গ্রামের সুব্রত গমেজ জানান, আমার ভাই মৃত সুবল গমেজের ছেলে সনি গমেজের সাথে গাজীপুরের কালীগঞ্জের লুইস কস্তার মেয়ে বৃষ্টি কস্তার বিয়ের নির্ধারিত দিন ছিল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর)।


বিজ্ঞাপন


গায়ে হলুদ উপলক্ষে সোমবার রাতে সনি গমেজের বাড়িতে আমাদের পরিবারের ছেলে-মেয়েরা নাচ গান করছিল। এসময় রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে একই গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে আমির হোসেন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নাচে অংশ নিতে চাইলে আমরা তাকে নিষেধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাকে মারধোর করে এবং হুমকি-ধমকি দেয়। আমার ভাই বিশালের চোখ তুলে নেওয়ারও হুমকি দেয়। এর মধ্যে ওর আরও কিছু সহযোগী চলে আসে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু রাত দুইটার দিকে আমির আলীর সহযোগী রবিউল আমাদের বাড়িতে আসে এবং আবার হট্টগোল শুরু করেন। চেয়ার প্লেট ভাংচুরের ঘটনাও ঘটায়। সকালে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য গির্জায় যাওয়ার সময় পথে ভ্যান থেকে নামিয়ে আমির আলী, রবিউল ও তাদের সহযোগীরা ছেলে ও মেয়ে পক্ষের জন কস্তা, শ্রাবন কস্তা, বিশাল কস্তা, জেকসন ক্রুজ, প্রত্যয় গমেজ, ট্যারেস রিবেরুসহ আরও কয়েক জনকে মারধোর করে। এ ঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

অভিযুক্ত যুবলীগের দুই নেতা আমির হোসেন ও রবিউল ইসলামকে ফোন দেওয়া হলে রিসিভি না করায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাফিজ উদ্দিন বলেন, বিয়ে বাড়িতে হামলার কথা শুনেছি। কেউ দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে অপকর্ম করে বেড়ালে এর দায় দল নিবে না। হামলার ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত থাকলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাবনা জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, বিষয়টি আপনার থেকেই শুনলাম। এখনই খবর নিচ্ছি। যদি জড়িত থাকে তাহলে আইনি বিষয় পুলিশ দেখবে আর আমরা দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, বিয়ে বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আপাতত কোনো সমস্যা নেই। যারা এই অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন