এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটিতে সরকারি-বেসরকারি সব বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে চলে গেলেও এর বিপরীত দেখা গেছে ফেনীর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে। এ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে স্থায়ী ঠিকানায় না গিয়ে কর্মস্থলে রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে থেকে ঈদ আনন্দ উপভোগ করেছেন। ঈদের দিন দুপুরের পর থেকেই তাদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে জরুরি সেবা প্রদান করতে দেখা গেছে। ঈদের ছুটিতে সেবা দিয়ে প্রশংসায় ভাসছে ফেনীর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা৷
ফেনীর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সেবাগ্রহীতা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ঈদের দিন সকাল বেলায় আমার মেয়ের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানকার লোকজন ঈদের দিন সেবা দেয়ায় দুপুরের দিকে আমার কোলে ফুটফুটে নাতি আসে। ঈদের দিন তারা না ছুটি কাটালে আমরা খুব বিপদে পড়তাম।
বিজ্ঞাপন
জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহেদা হোসেন বলেন, ২৮ মার্চ ২০২৫ থেকে ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকলেও আমরা সবাই মিলে জরুরি সেবা কার্যক্রম চালু রেখেছি। পরিবার ও স্বজনের সঙ্গে নয়, সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গেই আমাদের ঈদ হয়েছে৷ এসময়ে জরুরি সেবার আওতাধীন গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর ও কিশোরী সেবা, পরিবার পরিকল্পনার সব পদ্ধতিসহ অন্যান্য সব জরুরি সেবা চালু রাখা হয়৷ বন্ধের সময় আমরা ১ হাজার ৪৯৭ জনকে সেবা দিয়েছি।
ফেনী জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ঈদের ছুটিতে ফেনীর ৩টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ৩৩টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে সেবা চলমান ছিল। ছুটিকালীন জেলায় ৭৬ জনকে স্বাভাবিক প্রসব সেবা, ২ জনকে সিজারিয়ান, ৩২৭ জনকে গর্ভবতী পরিচর্যা, ১৮২ জনকে প্রসবোত্তর পরিচর্যা, ৩ জনকে স্থায়ী পদ্ধতি, ২১ জনকে আইইউডি, ৬ জনকে ইমপ্ল্যান্ট, ৮০ জনকে ইনজেকশন, ১৫৮ জনকে খাবার বড়ি, ৬৮ জনকে কনডম, ২৩৫ জনকে বিবিধ সেবা, ১৭১ শিশু ও ১৬৮ কিশোর-কিশোরীকে জরুরি সেবা প্রদান করা হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস